কাজী নজরুল ইসলামের ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী' প্রবন্ধের মূল বক্তব্য এবং অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
বাংলা সাহিত্যের যুগস্রষ্টা কবি কাজীনজরুল ইসলামের ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী' প্রবন্ধে ব্রিটিশ শাসন-শোষণ, প্রহসনমূলক বিচার ও নির্যাতন নিপীড়নের বিরুদ্ধে তার সুতীব্র প্রতিবাদ উপস্থাপন করেছেন। ন্যায় সত্য সুন্দরের পূজারি কবি ন্যায় - সত্য সুন্দরের প্রতিষ্ঠার জন্যই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ । এদিক থেকে ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী' একটি বিদ্রোহী চেতনামূলক কালজয়ী প্ৰবন্ধ । রাজবন্দীর জবানবন্দী : কবি নজরুল ইসলামের সম্পাদনায় ‘ধূমকেতু' প্রকাশের পর অল্পদিনেই তা প্রচণ্ড আলোড়ন সৃষ্টি করে। ব্রিটিশ শাসন বিরোধিতার কারণে প্রথম থেকেই পত্রিকাটি রাজরোষে পতিত হয়। এতে রাজদ্রোহমূলক কবিতা প্রকাশিত হলে কবি নজরুল ইসলাম ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক গ্রেফতার হন। কোলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে ১৯২৩ সালের ৭ জানুয়ারি ‘ধূমকেতু'র মামলার জবাবে তিনি ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী' প্রবন্ধটি রচনা করেন ।
রাজবন্দীর জবানবন্দী - কাজী নজরুল ইসলাম |
রাজবন্দি কবি কাজী নজরুল ইসলাম ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী' প্রবন্ধটির শুরুতেই তার বন্দিত্বের কারণ প্রসঙ্গে বলেছেন, “আমার উপর অভিযোগ আমি রাজদ্রোহী! তাই আমি আজ রাজকারাগারে বন্দী এবং রাজদ্বারে অভিযুক্ত।” ইংরেজরা দীর্ঘ দুশো বছর এদেশ শাসন করে। তাদের শোষণ নির্যাতনের বিরুদ্ধে কবিতা লিখেছেন বলে কবি নজরুল ইসলামকে রাজবন্দি হিসেবে জেলে পুরে রাখা হয়। কিন্তু জেলে বসেও থেমে থাকেনি বিদ্রোহী নজরুলের কলম। জেলে বসেই তিনি ইংরেজ শাসন শোষণের বিরুদ্ধে লিখেছেন তার অগ্নিঝরা এ প্রবন্ধ ।
ইংরেজরা বণিক হিসেবে এদেশে এলেও একসময় ষড়যন্ত্র করে তারা হাতে তুলে নেয় রাজদণ্ড। তাদের বিচারে রাজদ্রোহী হিসেবে অভিযুক্ত হন কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তার বিচারার্থে ইংরেজদের জন্য নিযুক্ত হয় বেতনভুক্ত বিচারক । সে হচ্ছে তাদের ভৃত্য। কিন্তু নজরুলের পাশে রয়েছে ‘ধূমকেতু’। তার জন্য রয়েছে সত্য ও ন্যায়দণ্ড। তার পক্ষে রয়েছেন সকল রাজার রাজা, সকল বিচারকের বিচারক আদি অনন্তকাল ধরে সত্য জাগ্রত ভগবান। কবি নজরুল ইসলাম তাই সত্য প্রকাশে ভয় পাননি। তিনি ইংরেজদের বিরুদ্ধে নির্ভয়ে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন ।
কবি নজরুল ইসলামের বিচারকের দৃষ্টিতে রাজা প্রজা, ধনী নির্ধন, সুখী-দুঃখী সবাই সমান। এ মহাবিচারকের সিংহাসনে রাজার মুকুট আর ভিখারির একতারা পাশাপাশি স্থান পায়। তার আইন সবার জন্য সমান । রাজার পক্ষে যে বিচারক, সে হচ্ছে পরমাণু পরিমাণ খণ্ডসৃষ্টি। আর কবির পক্ষে যে বিচারক তিনি হচ্ছেন আদি অন্তহীন অখণ্ড স্রষ্টা। রাজার পক্ষে যে, তার লাভ স্বার্থ ও অর্থ । কিন্তু কবির পক্ষে যিনি তার লাভ পরমানন্দ ।
রাজার বাণী বুদ্বুদের মতো। কিন্তু কবির বাণী সীমাহারা সমুদ্র। সত্য প্রকাশের জন্য; অমূর্ত সৃষ্টিকে মূর্তি দানের জন্য ভগবান কবিকে প্রেরণ করেছেন। কবির কণ্ঠে ভগবান স্বয়ং সাড়া দেন। তাই কবির বাণী রাজার বিচারে বিদ্রোহী হতে পারে, কিন্তু ন্যায়ের বিচারে তা বিদ্রোহী নয়। সে বাণী রাজদ্বারে দণ্ডিত হলেও ন্যায়ের আলোকে তা নিরপরাধ, নিষ্কলুষ, অম্লান ও অনির্বাণ সত্যস্বরূপ ।
সত্য আগুনের মতো । তাকে যতই চাপা দিয়ে রাখার চেষ্টা করা হোক না কেন, সত্য স্বয়ংপ্রকাশ। তাকে কোনো রাজদণ্ড বা রক্ত আঁখি নিরোধ করতে পারে না। কবি নিজেকে সেই স্বয়ংপ্রকাশের বীণা হিসেবে অভিহিত করেছেন। কবির ভাষায়, “আমি ভগবানের হাতের বীণা।” যে ভগবানের সেই বীণাকে ভাঙতে চায় সেও তারই এক ক্ষুদ্র সৃষ্টি। তাই তার অহংকারের একদিন অবশ্যই পতন হবে ।
সত্য যেমন অপ্রতিরোধ্য ও অমর, সত্য প্রকাশের যন্ত্রবাদক স্রষ্টাও তেমনি অপ্রতিরোধ্য ও অমর । কবি মরবেন, রাজা মরবেন, কবির মতো অতীতে আরও অনেকে সত্য প্রকাশে জীবন দিয়েছেন, কিন্তু সত্যের প্রকাশ কখনও নিরুদ্ধ হয়নি। কারণ স্বয়ং ভগবান তা যুগে যুগে মানুষের মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকেন। তাই দোষ কবির নয়, বিদ্রোহী কবি নন; প্ৰধান বিদ্রোহী সেই অপ্রতিরোধ্য ও অমর ভগবান । তাকে বন্দি করার মতো পুলিশ বা কারাগার আজও সৃষ্টি হয়নি ।
কবি ইংরেজদের কাছে রাজদ্রোহী হিসেবে অভিযুক্ত। কিন্তু কবির লেখায় ছিল সত্য কথা। তিনি উৎপীড়িত ও আর্ত বিশ্ববাসীর হয়ে ভগবানের সত্যধর্মকে প্রচার করেছেন । তাই তিনি বলেছেন, “আমি রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করি নাই, অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছি।”
ইংরেজরা কবিকে রাজবন্দি হিসেবে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। কিন্তু আসামির কাঠগড়ায় শুধু কবিই নেই, তার পশ্চাতেভগবানই এসে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু বিচারক সেদিন ভগবানকে দেখতে পায়নি। কারণ তখন সম্রাটের ভয়ে তার দৃষ্টি আচ্ছন্ন হয়ে গিয়েছিল । নইলে বিচারক তার বিচারাসনে ভয়ে বিস্ময়ে থরথর করে কেঁপে উঠত । তার মিথ্যা বিচারাসন পুড়ে ছাই হয়ে যেত ।
ভারত ছিল তখন পরাধীন। ভারতবাসী ছিল ইংরেজদের দাস। কিন্তু দাসকে দাস বললে, অন্যায়কে অন্যায় বললে ইংরেজদের কাছে তাই হয়ে যায় রাজদ্রোহ। জোর করে সত্যকে মিথ্যা বলানো, অন্যায়কে ন্যায় বলানো, দিনকে রাত বলানো সত্য কখনওসহ্য করতে পারে না। সত্য আজ জেগে ওঠেছে। সে আজ নিখিল আত্মার যন্ত্রণা চিৎকার হয়ে বধির কণ্ঠে আত্মপ্রকাশ করেছে । কাজেই তাকে ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না।
কবি পরম আত্মবিশ্বাসী ও আত্মসচেতন । তিনি অন্যায়কে অন্যায় বলেছেন, অত্যাচারকে অত্যাচার বলেছেন, মিথ্যাকে মিথ্যা বলেছেন । কারো তোষামোদ তিনি করেননি । তিনি শুধু রাজার বিরুদ্ধে নয়; সমগ্র জাতির, সমগ্র দেশের সমস্ত অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। তার জন্য তাকে অনেক অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। তিনি আজ কারাগারে বন্দি, 'নির্যাতিত। কিন্তু কারাগার তাকে আটকে রাখতে পারবে না। তিনি যখন মুক্ত হয়ে বাংলা মায়ের চরণমূলে লুটিয়ে পড়বেন তখন দেশমাতা তাকে আবার অগ্নিমন্ত্রে জেগে ওঠার প্রেরণা দেবে। সেদিন আবার শুরু হবে রক্ত ঝরার গান, স্বাধীনতার গান । তার ভয় নেই, দুঃখ নেই । কারণ ভগবান তার সাথে আছেন; তিনি অমৃতস্য পুত্রঃ ।
নিভৃত বাংলার আপডেট পেতে Google News এ Follow করুন
‘রাজবন্দীর জবানবন্দী' কবি কাজী নজরুল ইসলামের সহজ প্রাণের স্বতঃস্ফূর্ত অভিব্যক্তি । এটি আসলে তার চির বিদ্রোহী তারুণ্যের অসাধারণ বহিঃপ্রকাশ, যা সমস্ত অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে তিনি সুস্পষ্ট ভাষায় দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন— তিনি রাজার স্বেচ্ছাচারী ও একদেশদর্শী শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে, এদেশের মানুষের অসচেতনতা ও নির্বিকারত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন, কাজেই তিনি রাজদ্রোহী নন ।
কাজী নজরুল ইসলামের ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ প্রবন্ধটি বাংলা সাহিত্যের একটি অমর দলিল। এটি ব্রিটিশ শাসনের শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে এক সাহসী উচ্চারণ এবং বিদ্রোহী চেতনাকে প্রতিফলিত করে। প্রবন্ধটি শুধু সাহিত্যিক প্রয়াস নয়, এটি একটি ঐতিহাসিক প্রতিবাদপত্র, যা ঔপনিবেশিক শাসকদের নির্মম শোষণের বিপক্ষে নির্যাতিত মানুষের পক্ষে সাহসী কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিল।
নজরুলের সম্পাদনায় প্রকাশিত ‘ধূমকেতু’পত্রিকা ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা এবং স্বদেশি আন্দোলনের পক্ষে ছিল। এর মাধ্যমে কবি জনগণের মধ্যে জাতীয়তাবোধ জাগ্রত করার চেষ্টা করেন। ব্রিটিশ সরকার ‘ধূমকেতু’ পত্রিকার রাজদ্রোহমূলক লেখার জন্য নজরুলকে গ্রেফতার করে। তিনি প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় ১৯২৩সালের ৭ জানুয়ারি এই প্রবন্ধটি রচনা করেন।
প্রবন্ধটির শুরুতেই নজরুল ব্রিটিশ শাসকদের উদ্দেশ্যে বলেন,
“আমার উপর অভিযোগ আমিরাজদ্রোহী! তাই আমি আজ রাজকারাগারে বন্দী এবং রাজদ্বারে অভিযুক্ত।”
এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি স্পষ্ট করেন, তার অপরাধ রাজাকে নয়, অন্যায়, শোষণ এবং অত্যাচারকে বিদ্রোহ করা।
শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ
নজরুল প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, ইংরেজরা বণিক হিসেবে এসে ধীরে ধীরে এদেশের শাসন ক্ষমতা দখল করে। তাদের শাসন ছিল অন্যায়, অবিচার এবং শোষণমূলক। কবি এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন সাহসের সঙ্গে।
তিনি বলেন, রাজা কিংবা ব্রিটিশ শাসক নয়, তার পাশে রয়েছে ন্যায়ের আদর্শ। তিনি নিজেকে ভগবানের সত্যধর্ম প্রচারের এক ন্যায়পথিক সৈনিক হিসেবে দেখেন। তার ভাষায়,
“আমি রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করি নাই, অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছি।”
নজরুলের বিচারক ও রাজার প্রতি কঠোর সমালোচনা লক্ষ্য করা যায়। তিনি বলেন,
“রাজার বাণী বুদ্বুদের মতো, কিন্তু কবির বাণী সীমাহারা সমুদ্র।”
এখানে রাজার সাময়িক ক্ষমতার তুলনায় কবির চিরস্থায়ী ন্যায়ের শক্তিকে তুলে ধরা হয়েছে। নজরুল বিচারকের নিপীড়নমূলক আচরণ এবং ইংরেজ শাসনের বিচার প্রক্রিয়াকে ভণ্ডামি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি তার সত্যবাদী অবস্থান থেকে কখনো সরে আসেননি।
কবি নিজেকে ভগবানের হাতের বীণা হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, সত্যকে কখনো থামিয়ে রাখা যায় না। তিনি বলেন,
“সত্য আগুনের মতো। তাকেচাপা দিয়ে রাখার চেষ্টা করলেও, একসময় সে প্রকাশ পাবেই।”
নজরুলের এই বিদ্রোহ কেবল ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে নয়, সমস্ত অত্যাচার, অবিচার এবং সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধেও।
‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ প্রবন্ধে নজরুল তার অবস্থান পরিষ্কার করে বলেছেন:
এখানে তার আত্মবিশ্বাস এবং স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগের অঙ্গীকার ফুটে ওঠে।
নজরুল তার প্রবন্ধের শেষে বলেন, দাসত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ মানুষের স্বাভাবিক অধিকার। সত্য কখনো মিথ্যার কাছে পরাজিত হতে পারে না। বিদ্রোহী কবি নিজে ক্ষণস্থায়ী হলেও, তার উচ্চারণ এবং চেতনা চিরকালীন।
‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ কাজী নজরুল ইসলামের চিরবিদ্রোহী চেতনাকে ধারণ করে। এটি কেবল ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নয়, বরং চিরকালীন মানবাধিকার, ন্যায় এবং স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামেরও এক অনন্য উদাহরণ। এটি তার সাহসী মনন এবং অপরাজেয় চেতনার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, যা বাংলা সাহিত্য ও সমাজের জন্য কালজয়ী প্রবন্ধ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
১। ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী' প্রবন্ধটি কে রচনা করেন?
উত্তর : 'রাজবন্দীর জবানবন্দী' প্রবন্ধটি কাজী নজরুল ইসলাম রচনা করেন ।
২। কাজী নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কত সালে রাজদ্রোহের মামলা হয়?
উত্তর : কাজী নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১৯২২ সালে রাজদ্রোহের মামলা হয়।
৩। কাজী নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে রাজদ্রোহের মামলাটি কী নামে পরিচিত ?
উত্তর : কাজী নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে রাজদ্রোহের মামলাটি ‘ধূমকেতু মামলা' নামে পরিচিত।
৪। ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী' কবি কাজী নজরুল ইসলাম কোথায় বসে রচনা করেন?
উত্তর : ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী' কবি কাজী নজরুল ইসলাম কারাগারে বসে রচনা করেন ।
৫। “রাজবন্দীর জবানবন্দী' প্রবন্ধের রাজবন্দি কে?
উত্তর : 'রাজবন্দীর জবানবন্দী' প্রবন্ধের রাজবন্দি কাজী নজরুল ইসলাম ।
৬। 'রাজবন্দীর জবানবন্দী' প্রবন্ধে লেখককে কোন অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে?
উত্তর : ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী' প্রবন্ধে লেখককে রাজদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে ।
৭। রাজবন্দির মতে তার পিছনে কে?
উত্তর : রাজবন্দীর মতে তার পিছনে রুদ্র ।
৮। রাজবন্দির মতে রাজার পিছনে কে?
উত্তর : রাজবন্দীর মতে রাজার পিছনে ক্ষুদ্র ।
৯। রাজবন্দির মতে কার বাণী ৰুদ্বুদ?
উত্তর : রাজবন্দির মতে রাজার বাণী বুদ্বুদ
১০। রাজবন্দীর মতে কার বাণী সীমাহারা সমুদ্র?
উত্তর : রাজবন্দির মতে কবির বাণী সীমাহারা সমুদ্র ।
১১। 'রাজবন্দির জবানবন্দি' প্রবন্ধে কাজী নজরুল ইসলামের মতে কী স্বয়ংপ্রকাশ!
উত্তর : 'রাজবন্দির জবানবন্দী' প্রবন্ধে কাজী নজরুল ইসলামের মতে সত্য স্বয়ংপ্রকাশ ।
১২। কাজী নজরুল ইসলাম নিজেকে কার পুত্র বলেছেন?
উত্তর : কাজী নজরুল ইসলাম নিজেকে অমৃতস্যের পুত্র বলেছেন ।
১৩। 'রাজবন্দীর জবানবন্দী' প্রবন্ধে কাদের দাস বলা হয়েছে?
উত্তর : 'রাজবন্দীর জবানবন্দী' প্রবন্ধে পরাধীন ভারতবাসীকে দাস বলা হয়েছে ।
১৪। 'রাজবন্দীর জবানবন্দী' প্রবন্ধে কে রাজবন্দিকে ডাকছে?
উত্তর : 'রাজবন্দীর জবানবন্দী' প্রবন্ধে জীবন রাজবন্দিকে ডাকছে।
১৫। “ভাকে ডাকছে মরণ, আমায় ডাকছে জীবন । ” উক্তিটি কার?
উত্তর : “তাকে ডাকছে মরণ, আমায় ডাকছে জীবন । - উক্তিটি কাজী নজরুল ইসলামের ।
১৬। কারা ভারতবর্ষকে চিরকালের মতো নির্জীব করেছেন?
উত্তর : ইংরেজ জাতি ভারতবর্ষকে চিরকালের মতো নির্জীব করেছেন।
১৭। ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ প্রবন্ধটি কবে রচিত হয়?
উত্তর: ১৯২৩ সালের ৭ জানুয়ারি।
১৮। ‘ধূমকেতু’ পত্রিকার উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তর: ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা এবং জাতীয়তাবোধ জাগ্রত করা।
১৯। নজরুলকে কেন গ্রেফতার করা হয়?
উত্তর: ‘ধূমকেতু’ পত্রিকায় রাজদ্রোহমূলক লেখার অভিযোগে।
২০। নজরুলের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনা হয়েছিল?
উত্তর: রাজদ্রোহিতা।
২১। ‘ধূমকেতু’ প্রকাশের পর কী ঘটেছিল?
উত্তর: পত্রিকাটি ব্রিটিশ শাসকদের রোষের শিকার হয়।
২২। নজরুলের মতে, রাজার বাণী কেমন?
উত্তর: বুদ্বুদের মতো।
২৩। নজরুলের মতে, কবির বাণী কেমন?
উত্তর: সীমাহারা সমুদ্রের মতো।
২৪। নজরুল নিজের কলমকে কী হিসেবে দেখেছেন?
উত্তর: ভগবানের হাতের বীণা।
২৫। নজরুল কীসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন?
উত্তর: অন্যায়, শোষণ এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে।
২৬। নজরুল বিচারকদের কীভাবে মূল্যায়ন করেছেন?
উত্তর: তিনি তাদের ভৃত্য এবং পক্ষপাতদুষ্ট বলে চিহ্নিত করেছেন।
২৭। নজরুল নিজেকে কী হিসেবে অভিহিত করেছেন?
উত্তর: ভগবানের সত্যধর্ম প্রচারক।
২৮। নজরুল সত্যকে কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
উত্তর: আগুনের সঙ্গে।
২৯। নজরুলের ভাষায়, সত্য কী?
উত্তর: অপ্রতিরোধ্য এবং অমর।
৩০। নজরুলের বিচারকের প্রতি মন্তব্য কী ছিল?
উত্তর: বিচারকরা রাজার ভৃত্য, যারা স্বার্থের দাস।
৩১। নজরুল কী বলেছিলেন রাজদ্রোহ সম্পর্কে?
উত্তর: তিনি রাজার বিরুদ্ধে নয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন।
৩২। নজরুলের মতে, সত্য কীভাবে প্রকাশ পায়?
উত্তর: স্বয়ংপ্রকাশের মাধ্যমে।
৩৩। ব্রিটিশ শাসন সম্পর্কে নজরুলের অভিমত কী ছিল?
উত্তর: এটি অন্যায়, অত্যাচার এবং শোষণমূলক।
৩৪। নজরুলের পাশে কে ছিলেন?
উত্তর: সত্য এবং ন্যায়ের দণ্ড।
৩৫। নজরুলের মতে, ভগবান কী করেন?
উত্তর: যুগে যুগে মানুষের মাধ্যমে সত্য প্রকাশ করেন।
৩৬। ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ কেন কালজয়ী?
উত্তর: এটি সত্য, ন্যায় এবং বিদ্রোহী চেতনার সাহসী প্রকাশ।
৩৭। নজরুল কার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন?
উত্তর: সমগ্র অত্যাচার, অবিচার এবং শোষণের বিরুদ্ধে।
৩৮। ‘ধূমকেতু’ পত্রিকা কীসের প্রতীক?
উত্তর: ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের প্রতীক।
৩৯। কবির মতে, রাজা এবং প্রজার বিচার কী রকম হওয়া উচিত?
উত্তর: সমান।
৪০। নজরুলের মতে, বিচারকরা কীসের দাস?
উত্তর: রাজার স্বার্থ এবং মিথ্যার।
৪১। নজরুল তার লেখায় কী প্রচার করেছেন?
উত্তর: উৎপীড়িত মানুষের জন্য সত্য এবং ন্যায়ের কথা।
৪২। নজরুলের লেখার জন্য কী শাস্তি হয়েছিল?
উত্তর: তাকে কারাগারে বন্দি করা হয়েছিল।
৪৩। নজরুল সত্যধর্ম প্রচারকে কীভাবে দেখেছেন?
উত্তর: ভগবানের আদেশ হিসেবে।
৪৪। ব্রিটিশরা কীভাবে শাসন ক্ষমতা দখল করেছিল?
উত্তর: ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে।
৪৫। নজরুল কীসের উপর আত্মবিশ্বাসী ছিলেন?
উত্তর: ন্যায় এবং সত্যের শক্তির উপর।
৪৬। নজরুলের বিচারকের প্রতি কি অভিযোগ ছিল?
উত্তর: তারা পক্ষপাতদুষ্ট এবং মিথ্যার দাস।
৪৭। ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ কীসের সাক্ষ্য বহন করে?
উত্তর: বিদ্রোহী তারুণ্যের।
৪৮। নজরুল সত্যকে কী বলেছেন?
উত্তর: অম্লান এবং অমর।
৪৯। নজরুলের বিদ্রোহের উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা।
৫০। ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ আমাদের কী শিক্ষা দেয়?