‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধের মূলভাব এবং অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে যে শুধু সমৃদ্ধ করে তুলেছেন তা নয়, এটিকে তিনি নতুনভাবে সৃষ্টি করে সহস্র বছরের পরমায়ু দান করেছেন। রবীন্দ্রনাথের প্রগাঢ় অনুভূতি নিখিলের সর্বত্র পরিব্যাপ্ত। তার কৈশোর ও যৌবনের চিন্তাচেতনা, ধ্যানধারণা, যৌবনের বিশ্বাসের সাথে শেষ জীবনের উপলব্ধির অনেক ক্ষেত্রে যে অমিল সৃষ্টি হয়েছিল, ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে তার পরিচয় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সভ্যতার সংকট - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
‘সভ্যতার সংকট’ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আশিতম জন্মদিন অনুষ্ঠানে পঠিত একটি আত্মোপলব্ধিজাত উৎকৃষ্ট প্রবন্ধ। এ প্রবন্ধে ইংরেজ শাসন ও সভ্যতার প্রতি প্রাবন্ধিকের মনোভাব ব্যক্ত হয়েছে; বর্ণিত হয়েছে বিশ্বজুড়ে চলা মেকি ইংরেজ সভ্যতার প্রসার, আর বহিরাবরণে মানবতার স্লোগান এবং ভিতরে শাসন-শোষণ প্রতিষ্ঠার অভিলাষের স্বরূপ। এখানে প্রাবন্ধিক জীবনের শেষপ্রান্তে উপনীত হয়ে নিরাসক্ত দৃষ্টিকোণ খেতে ইংরেজ সভ্যতার মুখোশ উন্মোচন করতে সচেষ্ট হয়েছেন। একদা তিনি ইংরেজদের মানবমৈত্রীর বিশুদ্ধ পরিচয় পেয়ে তাদের সভ্যতার প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে ইংরেজ জাতিকে অন্তরের উচ্চাসনে স্থান দিয়েছিলেন। জীবনের প্রথম ভাগে ইউরোপীয় সভ্যতা সম্পর্কে তার যে মূর্খতা ছিলো, জীবনের শেষ ভাগে উপনীত হয়ে সেই মূর্খতা ও বিশ্বাস একেবারেই উঠে যায়। তাই পরাধীন ভারতবর্ষের দুর্দশায় তার মনে যে বেদনাবোধের সঞ্চার হয়েছিলো, এ প্রবন্ধে তিনি তা অকপটে ব্যক্ত করেছেন। তার মতে, উন্নত সংস্কৃতি, উচ্চমানের সাহিত্য, আধুনিক যন্ত্রশক্তি, মানবতাবোধ প্রভৃতির ধারকবাহক ইংরেজরা ভারতবর্ষে যে অপশাসন চালিয়েছে তার তুলনা পৃথিবীর ইতিহাসে নেই। ইংরেজ শাসন ভারতীয় ইতিহাস-ঐতিহ্যকে পদে পদে অপমানিত করেছে। তারা এদেশে এসেছিলো সাম্রাজ্যবাদী শোষণ চালানোর জন্য। সাম্রাজ্যবাদের বিস্তারই ছিলো তাদের মূল লক্ষ্য। তাই আধুনিক সভ্যতার জয়ঢাক পিটিয়ে ঠুনকো মানবতাবাদের দোহাই দিয়ে তারা আত্মস্বার্থ চরিতার্থ করায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তাদের কূটকৌশলে ভারতীয় জাতিসত্তা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। তারা ভারতবর্ষকে দিয়ে যায় বিধি এবং ব্যবস্থা, যা সম্পূর্ণ বাইরের জিনিস। কিন্তু নিয়ে যায় ভারতবর্ষের সৌহার্দ আর সম্প্রীতি। কেননা, কেবল ভারতবর্ষেই নয়, ইংরেজ সভ্যতা সেসময় তার বর্বরতার নখদন্ত বিস্তার করে সমস্ত ইউরোপে বিভীষিকা সৃষ্টি করে। মানবপীড়নের মহামারি রূপে পাশ্চাত্য সভ্যতা সেদিন মানবাত্মার অপমানের চরম সীমা অতিক্রম করে। ফলে মানব সভ্যতায় যে সংকটের উদ্ভব হয়, অদ্যাবধি তা বিস্তৃত হয়েই চলেছে। তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অত্যন্ত মার্জিত ভাষায় ইউরোপীয় সভ্যতার সমালোচনা করে ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে তাদের মানবমৈত্রীর বিশুদ্ধ পরিচয়ের মুখোশ উন্মোচন করেছেন।
ইংরেজদের বর্বরতা, সাম্রাজ্যবাদী ও আগ্রাসী মনোভাব মানব সভ্যতাকে অপমান এবং কলুষিত করেছে। এজন্য ইংরেজদের প্রতি শ্রদ্ধা হারিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন; তার উদ্বেগ মিথ্যা হয়নি। সভ্যতার সংকট এখনও চলছে। বাহ্যিক দৃষ্টিতে সভ্যতার চরম শিখরে এখন বিশ্ববাসী। কিন্তু প্রকৃত সত্য তার উল্টো। এখনও চলছে বৈষম্য, হত্যা, লুণ্ঠন, দখল, অনিয়ম, অনাচার, নির্যাতন, বর্বরতা।
নিভৃত বাংলার আপডেট পেতে Google News এ Follow করুন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে শুধুমাত্র সমৃদ্ধ করেননি; তিনি এটিকে এমন এক নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপন করেছেন, যা সাহিত্যের সহস্র বছরের পরমায়ু দান করেছে। তাঁর সৃষ্টিশীলতার প্রগাঢ় অনুভূতি এবং নিখিলকে উপলব্ধি করার ক্ষমতা বাংলা সাহিত্যকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশেষ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে। রবীন্দ্রনাথের কৈশোর থেকে শেষ জীবনের চিন্তাধারা, বিশ্বাস এবং উপলব্ধিতে যে পরিবর্তন ও পরিপক্বতা এসেছে, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলো ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধ।
‘সভ্যতার সংকট’ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আশিতম জন্মদিনে পঠিত এক উৎকৃষ্ট প্রবন্ধ, যা তার জীবনের গভীর অভিজ্ঞতা এবং উপলব্ধি দ্বারা রচিত। প্রবন্ধটিতে ইংরেজ শাসনের প্রতি তাঁর পরিবর্তিত দৃষ্টিভঙ্গি ও তৎকালীন ইউরোপীয় সভ্যতার মেকি মানবতাবাদ উন্মোচিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ জীবনের প্রথম পর্যায়ে ইংরেজ জাতির মানবমৈত্রীর আদর্শে মুগ্ধ হয়েছিলেন। কিন্তু ইংরেজ শাসনের বাস্তবতা এবং তাদের শোষণমূলক নীতি উপলব্ধি করে তিনি শেষ জীবনে তাদের প্রতি মুগ্ধতা হারিয়ে ফেলেন। তিনি বুঝতে পারেন, ইংরেজ সভ্যতা কেবল বাহ্যিক চাকচিক্য নিয়ে বিশ্বকে বিভ্রান্ত করেছে; অন্তরে তা শাসন, শোষণ এবং সাম্রাজ্যবাদের ধারক।
রবীন্দ্রনাথ এ প্রবন্ধে তুলে ধরেছেন, কীভাবে ইংরেজ শাসকরা ভারতবর্ষের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং সামাজিক সৌহার্দ্য ধ্বংস করেছে। তাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল সাম্রাজ্যবাদী শোষণ, যা তারা আধুনিক সভ্যতার মোড়কে ঢেকে রেখেছিল। রবীন্দ্রনাথের মতে, ইংরেজরা ভারতবর্ষে কিছু বিধি এবং ব্যবস্থা প্রবর্তন করলেও তা ছিল কৃত্রিম এবং ভারতীয় সংস্কৃতির পরিপন্থী। তাদের শাসন কেবল ভারতীয় জাতিসত্তার ঐক্যকে ভাঙেনি, বরং জাতিকে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে লিপ্ত করেছে। এই শোষণ ও বিভেদের কৌশল শুধু ভারতবর্ষেই নয়, সেসময়ের পুরো ইউরোপজুড়ে মানবিকতার চরম অপমান করেছে।
‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ শুধু ইংরেজ শাসনের সমালোচনা করেননি; তিনি মানব সভ্যতার গভীর সংকটের দিকেও ইঙ্গিত করেছেন। তাঁর মতে, বাহ্যিক দৃষ্টিতে সভ্যতা যতই উন্নতির শিখরে পৌঁছাক না কেন, ভেতরে লুকিয়ে থাকা বৈষম্য, শোষণ, লুণ্ঠন, এবং বর্বরতা মানবতার প্রকৃত উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে। আজকের বিশ্বেও বৈষম্য, সাম্রাজ্যবাদ, এবং সহিংসতার যে ছায়া দেখা যায়, তা রবীন্দ্রনাথের চিন্তার সত্যতাকে পুনঃপ্রমাণিত করে।
‘সভ্যতার সংকট’ শুধু এক যুগের দলিল নয়, এটি মানব সভ্যতার একটি শাশ্বত বাস্তবতার প্রতিফলন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এ প্রবন্ধের মাধ্যমে বুঝিয়েছেন, প্রকৃত সভ্যতা কেবল বাহ্যিক প্রগতিতে নয়, অন্তর্নিহিত মানবিক মূল্যবোধ ও সাম্যের উপর নির্ভরশীল। সভ্যতার সংকটের প্রাসঙ্গিকতা আজও অবিচল রয়েছে এবং বিশ্ববাসীকে তার সমাধানের পথে অগ্রসর হতে অনুপ্রাণিত করে।
১। ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধটি কার লেখা?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
২। ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধটি কবে পঠিত হয়?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথের আশিতম জন্মদিনে।
৩। প্রবন্ধটি কোন বিষয়কে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে?
উত্তর: ইংরেজ শাসন ও ইউরোপীয় সভ্যতার সংকট।
৪। রবীন্দ্রনাথের জীবনের কোন পর্যায়ের উপলব্ধি এ প্রবন্ধে প্রকাশ পেয়েছে?
উত্তর: শেষ জীবনের উপলব্ধি।
৫। ইংরেজদের প্রতি রবীন্দ্রনাথের প্রথম দৃষ্টিভঙ্গি কেমন ছিল?
উত্তর: মানবমৈত্রীর আদর্শে মুগ্ধ।
৬। জীবনের শেষ পর্যায়ে রবীন্দ্রনাথ ইংরেজদের সম্পর্কে কী উপলব্ধি করেন?
উত্তর: তাদের শোষণ ও সাম্রাজ্যবাদী চরিত্র।
৭। ইংরেজ সভ্যতা কীভাবে ভারতবর্ষকে প্রভাবিত করেছিল?
উত্তর: শাসন ও শোষণের মাধ্যমে।
৮। ইংরেজরা ভারতবর্ষ থেকে কী নিয়ে গেছে?
উত্তর: সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি।
৯। রবীন্দ্রনাথ ইংরেজ সভ্যতাকে কী বলেছেন?
উত্তর: ঠুনকো মানবতাবাদের মুখোশ।
১০। ইংরেজদের মূল লক্ষ্য কী ছিল?
উত্তর: সাম্রাজ্যবাদী শোষণ।
১১। ইংরেজ শাসনের ফলে ভারতীয় জাতিসত্তায় কী ঘটেছিল?
উত্তর: বিভক্তি ও দ্বিধা।
১২। ইংরেজরা ভারতবর্ষে কী প্রবর্তন করে?
উত্তর: বাইরের বিধি ও ব্যবস্থা।
১৩। ইংরেজ শাসনের কোন দিকটি রবীন্দ্রনাথকে সবচেয়ে বেশি আঘাত করেছিল?
উত্তর: ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অপমান।
১৪। ইউরোপীয় সভ্যতার বর্বরতা কীভাবে প্রকাশ পেয়েছিল?
উত্তর: শোষণ ও যুদ্ধের মাধ্যমে।
১৫। ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ কী উন্মোচন করেছেন?
উত্তর: ইংরেজ সভ্যতার মেকি মানবতাবাদ।
১৬। রবীন্দ্রনাথ কেন ইংরেজদের প্রতি শ্রদ্ধা হারান?
উত্তর: তাদের বর্বরতা ও শোষণের জন্য।
১৭। রবীন্দ্রনাথ সভ্যতার প্রকৃত সংকটকে কী বলে মনে করেছেন?
উত্তর: মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়।
১৮। রবীন্দ্রনাথের মতে সভ্যতার প্রকৃত উন্নয়ন কোথায়?
উত্তর: মানবিক মূল্যবোধ ও সাম্যে।
১৯। ইংরেজরা ভারতবর্ষে কী আনেনি?
উত্তর: প্রকৃত মানবতা।
২০। ইউরোপীয় সভ্যতা কীভাবে নিজেদের মানবতাবাদ প্রচার করেছিল?
উত্তর: মেকি স্লোগানের মাধ্যমে।
২১। সভ্যতার সংকটের প্রভাব আজও কেন চলছে?
উত্তর: বৈষম্য, শোষণ ও সহিংসতার জন্য।
২২। রবীন্দ্রনাথ ইংরেজ সভ্যতাকে কীভাবে চিহ্নিত করেন?
উত্তর: শোষণমূলক ও সাম্রাজ্যবাদী।
২৩। ইংরেজদের শাসন ভারতবর্ষে কী প্রভাব ফেলে?
উত্তর: ঐতিহ্যের অপমান ও সংস্কৃতির ধ্বংস।
২৪। রবীন্দ্রনাথ ইংরেজদের কী নিয়ে সতর্ক করেছিলেন?
উত্তর: তাদের শাসনের কূটকৌশল।
২৫। ইউরোপীয় সভ্যতার বর্বরতা কোথায় সীমা ছাড়িয়েছিল?
উত্তর: মানবাত্মার অপমানে।
২৬। রবীন্দ্রনাথের প্রবন্ধের ভাষা কেমন?
উত্তর: মার্জিত ও শক্তিশালী।
২৭। ‘সভ্যতার সংকট’ কোন শ্রেণির সাহিত্য?
উত্তর: প্রবন্ধ।
২৮। রবীন্দ্রনাথের মতে ইংরেজ সভ্যতার প্রধান দোষ কী?
উত্তর: শোষণ ও সাম্রাজ্যবাদ।
২৯। রবীন্দ্রনাথ কোন সভ্যতাকে মানবিক মনে করেন?
উত্তর: যা মানবিক মূল্যবোধ ও সাম্যের উপর নির্ভরশীল।
৩০। ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধের প্রাসঙ্গিকতা কী?
উত্তর: মানব সভ্যতার চিরন্তন সংকটের চিত্রণ।
৩১। ভারতবর্ষের মানুষ কোন জাতির সংস্পর্শে এসে বৃহত্তর মানববিশ্বের সাথে পরিচয় লাভ করে?
উত্তর: ভারতবর্ষের মানুষ ইংরেজ জাতিরসংস্পর্শে এসে বৃহত্তর মানববিশ্বের সাথে পরিচয় লাভ করে।
৩২। ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ ভারতবর্ষের দুর্গতির জন্য কাদের দায়ী করেছেন?
উত্তর: ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ ভারতবর্ষের দুর্গতির জন্য মূলত ভারতীয় সমাজকে দায়ী করেছেন।
৩৩। ইংরেজদের আগমনের পর ভারতবর্ষের মানুষ কার বাগ্মিতায় মুখরিত ছিলো?
উত্তর: ইংরেজদের আগমনের পর ভারতবর্ষের মানুষ এডমন্ড বার্কের বাগ্মিতায় মুখরিত ছিলো।
৩৪। ইংরেজদের আগমনের পর ভারতবর্ষের মানুষ কার নাটকের প্রতি আকৃষ্ট হয়?
উত্তর: ইংরেজদের আগমনের পর ভারতবর্ষের মানুষ শেকসপিয়রের নাটকের প্রতি আকৃষ্ট হয়।
৩৫। ইংরেজদের আগমনের পর ভারতবর্ষের মানুষ কোন বিষয়ে সাধনা শুরু করেছিলো?
উত্তর: ইংরেজদের আগমনের পর ভারতবর্ষেরমানুষ স্বজাতি স্বাধীনতার বিষয়ে সাধনা শুরু করেছিলো।
৩৬। ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ ইংল্যান্ডে কার মুখে বক্তৃতা শোনার কথা বলেছেন?
উত্তর: ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ ইংল্যান্ডে জন ব্রাইটের মুখে বক্তৃতা শোনার কথা বলেছেন।
৩৭। ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ প্রশংসার বিষয় নয় বলে কোন বিষয়কে বুঝিয়েছেন?
উত্তর: ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথপরনির্ভরতাকে প্রশংসার বিষয় নয় বলে বুঝিয়েছেন।
৩৮। রবীন্দ্রনাথের মতে কোন সাহিত্যের দ্বারা ভারতবর্ষের মানুষের মন পুষ্টি লাভ করেছে?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথের মতে ইংরেজি সাহিত্যেরদ্বারা ভারতবর্ষের মানুষের মন পুষ্টি লাভ করেছে।
৩৯। ‘সিভিলাইজেশন’ দ্বারা সাধারণত কী বোঝানো হয়?
উত্তর: ‘সিভিলাইজেশন’ দ্বারা সাধারণতসভ্যতা বোঝানো হয়।
৪০। ভারতবর্ষের সামাজিক নিয়ম সম্পর্কে প্রাচীন ধারণা কোন সংকীর্ণ সীমার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলো?
উত্তর: ভারতবর্ষের সামাজিক নিয়ম সম্পর্কেপ্রাচীন ধারণা সংকীর্ণ ভৌগলিক সীমার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলো।
৪১। ভারতবর্ষকে চিরকালের জন্য নির্জীব করে রেখেছে কারা?
উত্তর: ভারতবর্ষকে চিরকালের জন্য নির্জীবকরে রেখেছে ইংরেজরা।
৪২। রবীন্দ্রনাথ রাশিয়ার কোন নগরীর মানুষের কঠোর অধ্যবসায়ের কথা বলেছেন?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ রাশিয়ার মস্কো নগরীর মানুষের কঠোর অধ্যবসায়ের কথা বলেছেন
৪৩। রবীন্দ্রনাথ ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে কোন দেশের সমৃদ্ধি নিজ চোখে দেখেছেন?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে জাপানের সমৃদ্ধি নিজ চোখে দেখেছেন।
৪৪। রবীন্দ্রনাথ কাকে মহৎপ্রাণ ইংরেজ বলেছেন?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ এন্ড্রুজকে মহৎপ্রাণ ইংরেজ বলেছেন।
৪৫। রবীন্দ্রনাথ কাদের নিকটতম বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেছেন?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ মহৎপ্রাণ ইংরেজদেরনিকটতম বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেছেন।