‘তৈল’ প্রবন্ধের মূলভাব এবং অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী স্বমহিমায় ভাস্মর একজন প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব। তাঁর ‘তৈল’ প্রবন্ধটিতে বিশেষভাবে পাঠকের অভিনিবেশ প্রতিফলিত হয়েছে। এ প্রবন্ধে মননশীলতার পাশাপাশি সৃজনশীলতারও প্রকাশ ঘটেছে। লেখক তাঁর সামাজিক অভিজ্ঞতা থেকে মানুষের মানচিত্র তুলে ধরেছেন প্রবন্ধটিতে। তাই তাঁর এ প্রবন্ধ সমকালে চেতনা জাগানিয়া রচনা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে এবং উত্তরকালেও বিস্তৃত হয়েছে এর পরিপ্রেক্ষিত ও প্রাসঙ্গিকতা
তৈল - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
তৈল - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী

 নিভৃত বাংলার আপডেট পেতে Google News এ Follow করুন

হরসপ্রসাদ শাস্ত্রী ‘তৈল’ প্রবন্ধটিতে প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞানের বাহিরে যে অপ্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান, বিশেষ করে ‘তৈল’ প্রদান এবং ছলাকলার প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া প্রচলিত রয়েছে, সে ব্যাপারে সামাজিক স্বীকৃতি অস্বীকৃতির কথা বলতে গিয়ে সামান্য বাঁকা সুর পরিবেশন করেছেন। প্রাবন্ধিক মনে করেন, মানুষ মানুষকে স্নেহ করবে, শ্রদ্ধা করবে, ভালোবাসবে এটাই স্বাভাবিক। কাজেই চিন্তাবিদদের চোখে স্নেহ বা ভিন্নার্থে তৈল আদানপ্রদান কোনো খারাপ বন্তু নয়। কিন্তু খুবই পরিতাপের বিষয়, সমাজ রূপান্তরের প্রক্রিয়ায় ‘তৈল’ শব্দটির প্রয়োগ নেতিবাচক অর্থে প্রচলিত হয়েছে। কেননা মানুষের সন্তুষ্টি অর্জনে যেখানে শক্তি, বিদ্যা, ধন, কৌশল প্রভৃতি কোনো কাজে আসে না, তখন ‘তৈল’ বেশ কাজ দেয়। ‘তৈল’ শব্দটির এখানে তাৎপর্যগত অর্থ দাঁড়ায় মিথ্যা প্রশংসা বা লোক দেখানো স্তুতি। তার মানে, স্নেহ বা শ্রদ্ধা তার চরিত্র হারিয়ে মিথ্যার আশ্রয় গ্রহণ করলে তা ‘তৈল’ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী যাপিত জীবনে অবলোকন করেছেন, বাস্তবিকই তৈল সর্বশক্তিমান। যে এ সর্বশক্তিময় তৈল ব্যবহার করতে জানে, সেও সর্বশক্তিমান। তার কাছে জগতের সব কাজই সোজা। তার চাকরির জন্য ভাবতে হয় না, ওকালতি প্রসার করার জন্য সময় নষ্ট করতে হয় না, বিনা কাজে বসেও থাকতে হয় না, এমনকি কোনো কাজেই শিক্ষানবিশ থাকতে হয় না। যে তৈল দিতে পারবে তার বিদ্যা না থাকলেও সে প্রফেসর হতে পারে, আহাম্মক হলেও ম্যাজিস্ট্রেট হতে পারে, সাহস না থাকলেও সেনাপতি হতে পারে এবং দুর্লভরাম হয়েও উড়িষ্যার গভর্নর হতে পারে। প্রসঙ্গত প্রাবন্ধিক উপহাস্যকভাবে প্রকাশ করেছেন, ‘তৈল প্রদান’ এর ‘মহিমা’ ও ‘অপরূপতা’র কথা। সামাজিকভাবে তৈলের ব্যবহার যোগ্যতাও তুলে ধরেছেন বর্ণনা সূত্রে। কলকারখানা পরিচালনা, প্রদীপ জ্বালানো, তরকারি রান্না, চেহারার সৌন্দর্য বৃদ্ধি প্রভৃতি কাজে যে তৈলের প্রয়োগ অনিবার্য, তাও পাঠককে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। আর তৈলের নানারূপ ও নাম বিষয়েও একটি তালিকা প্রস্তুত করেছেন দার্শনিক প্রজ্ঞাসমৃদ্ধ এ প্রাবন্ধিক।

বল, বিক্রম, বিদ্যা-বুদ্ধিহীন বাঙালির একমাত্র ভরসা যে ‘তৈলমর্দন’ সে বিষয়ে প্রাবন্ধিক কোনো সন্দেহ পোষণ করেননি। আবার তৈল প্রয়োগ পদ্ধতিও যে সব বাঙালি সঠিকভাবে আয়ত্ত করতে পারেনি, তাও তিনি তার পাঠককে মনে করিয়ে দিয়েছেন। যশ খ্যাতি যাই বলি না কেন, বাঙালির সমূহ সাফল্যের মূলে যে ‘তৈল’ তা সমাজ বিশ্লেষক প্রাবন্ধিক তাঁর যাপিত জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে, প্রতিদিনের পরিবেশ থেকে জেনেছেন।

হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর "তৈল" প্রবন্ধটি বাংলা সাহিত্যের একটি প্রভাবশালী রচনা, যা তৎকালীন সমাজ ও সংস্কৃতির ব্যঙ্গাত্মক বিশ্লেষণের মাধ্যমে মানব চরিত্রের গভীর উপলব্ধি প্রকাশ করে। প্রবন্ধটিতে লেখক সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন, যেখানে তৈলের প্রতীকী ব্যবহার অত্যন্ত তাৎপর্যময়। এটি কেবল একটি শৈল্পিক ব্যঙ্গ নয়; বরং সমাজের রূপান্তরের প্রক্রিয়ায় মূল্যবোধের অবক্ষয়ের প্রতিফলন।

প্রবন্ধের কেন্দ্রীয় ভাবনা "তৈল" শব্দটির বহুমাত্রিক অর্থ ও প্রয়োগ। প্রাবন্ধিক প্রথমে স্নেহ, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মতো মানবিক গুণাবলির আলোকে তৈলের প্রাথমিক ইতিবাচক দিক ব্যাখ্যা করেন। তিনি মনে করিয়ে দেন, মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা ও সহমর্মিতা থাকা উচিত, যা স্নেহ বা তৈল হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। কিন্তু সমাজে তৈলের অর্থ একসময় নেতিবাচক হয়ে উঠেছে, যা মিথ্যা প্রশংসা, চাটুকারিতা এবং কপটতার সমার্থক রূপে ব্যবহৃত হয়। প্রাবন্ধিকের মতে, তৈলের এই নেতিবাচক দিকটি মানুষের চরম দুর্বলতা ও আত্মসমর্পণের ফল।

হরপ্রসাদ শাস্ত্রী তাঁর জীবনের অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণ থেকে বলেন যে তৈল একটি অসীম শক্তি। তৈল প্রয়োগের মাধ্যমে যোগ্যতাহীন মানুষও যোগ্যকে অতিক্রম করে ক্ষমতা, প্রতিপত্তি, ও সম্মান অর্জন করতে পারে। যিনি তৈল প্রয়োগেদক্ষ, তিনি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার অভাব, বিদ্যা বা সাহসের ঘাটতিও পুষিয়ে ফেলতে পারেন। প্রাবন্ধিক উপহাসের সুরে বলেন, তৈলের প্রয়োগে অযোগ্য মানুষও প্রফেসর, ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাপতি কিংবা গভর্নর হয়ে যেতে পারে। এটি সমাজের একটি অন্তর্লীন বাস্তবতা, যা ব্যঙ্গাত্মক হলেও গভীর সত্যের ইঙ্গিত বহন করে।

হরপ্রসাদ শাস্ত্রী তৈলের ব্যবহারিক ও প্রতীকী উভয় দিকেই মনোযোগ দিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, কলকারখানা পরিচালনা, প্রদীপ জ্বালানো, তরকারি রান্না, এমনকি সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য তৈল অনিবার্য। এসব উপযোগিতা সামাজিক বাস্তবতার অংশ হলেও প্রাবন্ধিক মূলত "তৈল" শব্দটির নেতিবাচক দিকটি তুলে ধরতে আগ্রহী ছিলেন। সমাজে তৈলের ব্যবহার কেবল প্রাত্যহিক জীবনে সীমাবদ্ধ নয়; এটি ক্ষমতা, খ্যাতি, ও সাফল্যের মূলে রয়েছে।

হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মনে করেন, বল, বিক্রম ও বিদ্যার অভাব বাঙালির সামাজিক অবনতির অন্যতম কারণ। এ অভাব পুষিয়ে নেওয়ার জন্য বাঙালি "তৈলমর্দন" শিখে নিয়েছে। তবে তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন, বাঙালি এই শিল্পটিকেও পুরোপুরি রপ্ত করতে পারেনি। তার মতে, বাঙালির জীবনের নানা ক্ষেত্রেই তৈল প্রয়োগের অদ্ভুত দক্ষতা লক্ষ্য করা যায়, যা একাধারে ব্যঙ্গ ও সমাজের প্রতিচ্ছবি।

হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর "তৈল" প্রবন্ধটি বাংলা সাহিত্যে একটি ব্যতিক্রমধর্মী রচনা। এটি সমাজের বাস্তবতাকে ব্যঙ্গাত্মক দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরে। প্রাবন্ধিক অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে প্রতীকী ভাষার প্রয়োগে তৈলের সামাজিক ও নৈতিক তাৎপর্য প্রকাশ করেছেন। প্রবন্ধটি তৎকালীন সমাজের সংকট ও মূল্যবোধের অবক্ষয়ের প্রতি গভীর ইঙ্গিত দেয়, যা বর্তমানেও প্রাসঙ্গিক।

 

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

 

১। "তৈল" প্রবন্ধটির রচয়িতা কে? 

উত্তর: হরপ্রসাদ শাস্ত্রী। 

২। "তৈল" প্রবন্ধটি কোন বিষয়কে প্রতীকীভাবে তুলে ধরে? 

উত্তর: সমাজের মূল্যবোধ ও চাটুকারিতার প্রসঙ্গ। 

৩। "তৈল" শব্দটির প্রাথমিক অর্থ কী? 

উত্তর: স্নেহ বা শ্রদ্ধা। 

৪। "তৈল" শব্দের নেতিবাচক অর্থ কী বোঝায়? 

উত্তর: মিথ্যা প্রশংসা বা চাটুকারিতা। 

৫। প্রাবন্ধিক তৈলকে কোন শক্তিরূপে দেখেছেন? 

উত্তর: সর্বশক্তিমান। 

৬। তৈল প্রয়োগে কী অর্জন সম্ভব? 

উত্তর: ক্ষমতা, খ্যাতি ও সাফল্য। 

৭। প্রাবন্ধিকের মতে বাঙালির প্রধান শক্তি কী? 

উত্তর: তৈলমর্দন। 

৮। প্রাবন্ধিক তৈল প্রয়োগে বাঙালির কী ঘাটতির কথা বলেছেন? 

উত্তর: সঠিকভাবে তৈল প্রয়োগের দক্ষতা। 

৯। "তৈল" প্রবন্ধটি কোন ধাঁচের রচনা? 

উত্তর: ব্যঙ্গাত্মক। 

১০। প্রাবন্ধিক তৈলকে কীভাবে ব্যাখ্যা করেছেন? 

উত্তর: স্নেহের ইতিবাচক দিক এবং মিথ্যার নেতিবাচক দিক। 

১১। সামাজিক উন্নয়নে তৈলের কী ভূমিকা আছে? 

উত্তর: ক্ষমতা অর্জনে এটি কার্যকর। 

১২। প্রাবন্ধিক তৈলের কোন ব্যবহারিক দিক উল্লেখ করেছেন? 

উত্তর: প্রদীপ জ্বালানো, রান্না, সৌন্দর্য বৃদ্ধি। 

১৩। প্রাবন্ধিকের মতে তৈল ব্যবহার করলে কোন কাজ সহজ হয়ে যায়? 

উত্তর: চাকরি, ওকালতি, ক্ষমতা লাভ। 

১৪। প্রাবন্ধিক কার উপহাস করেছেন? 

উত্তর: তৈল ব্যবহারকারীদের। 

১৫। তৈল প্রয়োগের ফলে যোগ্যতাহীন ব্যক্তি কী হতে পারে? 

উত্তর: প্রফেসর, ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাপতি। 

১৬। প্রাবন্ধিক "তৈল" শব্দটি দিয়ে কী বোঝাতে চেয়েছেন? 

উত্তর: সমাজে মিথ্যা প্রশংসা ও চাটুকারিতা। 

১৭। "তৈল" প্রবন্ধে কী ধরনের ভাষার ব্যবহার আছে? 

উত্তর: ব্যঙ্গাত্মক ও প্রতীকী। 

১৮। বাঙালির কোন অভাব প্রাবন্ধিক তুলে ধরেছেন? 

উত্তর: বল, বিক্রম ও বিদ্যার অভাব। 

১৯। প্রাবন্ধিক "তৈল" শব্দের কোন রূপ বেশি সমালোচনা করেছেন? 

উত্তর: মিথ্যা ও কপটতাপূর্ণ রূপ। 

২০। তৈলমর্দন কীসের প্রতীক? 

উত্তর: চাটুকারিতা। 

২১। "তৈল" প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক কোন সামাজিক বাস্তবতার কথা বলেছেন? 

উত্তর: যোগ্যতার পরিবর্তে তৈল প্রয়োগে সাফল্য লাভ। 

২২। প্রাবন্ধিক তৈলকে কীসের জন্য অপরিহার্য বলেছেন? 

উত্তর: জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে। 

২৩। প্রাবন্ধিকের মতে বাঙালির সাফল্যের মূলে কী রয়েছে? 

উত্তর: তৈল। 

২৪। প্রবন্ধটি কী ধরনের পাঠকের উপযোগী? 

উত্তর: সচেতন ও সমালোচনামূলক পাঠক। 

২৫। "তৈল" কীভাবে প্রাসঙ্গিক? 

উত্তর: সমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের প্রতিফলন হিসেবে। 

২৬। প্রাবন্ধিক কীভাবে তৈলকে হাস্যকরভাবে উপস্থাপন করেছেন? 

উত্তর: তৈলের "মহিমা" ও "অপরূপতা" বর্ণনা করে। 

২৭। প্রাবন্ধিকের মতে মিথ্যা প্রশংসার প্রভাব কী? 

উত্তর: অযোগ্য মানুষও ক্ষমতা অর্জন করে। 

২৮। প্রবন্ধে প্রাবন্ধিকের দৃষ্টিভঙ্গি কী ধরনের? 

উত্তর: সমালোচনামূলক ও উপহাস্য। 

২৯। "তৈল" কী ধরনের সমাজের চিত্র তুলে ধরে? 

উত্তর: মূল্যবোধ হারানো সমাজ। 

৩০। প্রাবন্ধিকের ব্যঙ্গের লক্ষ্য কী? 

উত্তর: চাটুকারিতা ও মিথ্যা প্রশংসার প্রচলন।

৩১। ‘তৈল’ প্রবন্ধটি কে রচনা করেছেন?

উত্তর: হরপ্রসাদ শাস্ত্রী রচনা করেছেন।

৩২। ‘তৈল’ প্রবন্ধটি কী জাতীয় রচনা?

উত্তর: ব্যাঙ্গাত্মক/ ব্যঙ্গবিদ্রুপাত্মক জাতীয় রচনা।

৩৩। ‘তৈল’ প্রবন্ধে মানুষের কোন মনোভাবের প্রতিফলন ঘটেছে?

উত্তর: মোসাহেবী/চাটুকারিতার মনোভাবের প্রতিফলন ঘটেছে।

৩৪। ‘তৈল’ মানুষকে কী উপায়ে ঠান্ডা করতে পারে?

উত্তর: তৈল মানুষকে স্নেহ হিসেবে ঠান্ডা করতে পারে।

৩৫। ‘তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে আমরা পরস্পরকে কী উপায়ে তৈল দিয়ে থাকি?

উত্তর: ‘তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে আমরা পরস্পরকে স্নেহ করার মাধ্যমে তৈল দিয়ে থাকি

৩৬। “বাস্তবিকই ‘তৈল’ সর্বশক্তিমান”- কথাটির অর্থ কী?

উত্তর: “বাস্তবিকই ‘তৈল’ সর্বশক্তিমান”-কথাটির অর্থ তৈলে অসাধারণ ক্ষমতা বিদ্যমান।

৩৭। ক্ষমতার দৃষ্টিকোণ থেকে ‘তৈল’কে লেখক কী বলেছেন?

উত্তর: ক্ষমতার দৃষ্টিকোণ থেকে ‘তৈল’কে লেখক সর্বশক্তিমান বলেছেন

৩৮। কোন জিনিস ছাড়া কোনো কাজই সিদ্ধ হয় না?

উত্তর: ‘তৈল’ ছাড়া কোনো কাজই সিদ্ধ হয়না।

৩৯। হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ‘তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে কার মহিমা অতি অপরূপ?

উত্তর: হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ‘তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে তৈলের মহিমা অতি অপরূপ।

৪০। যে ‘তৈল’ গৃহিণীকে স্নিগ্ধ করে রাখে তার নাম কী?

উত্তর: যে ‘তৈল’ গৃহিণীকে স্নিগ্ধ করে রাখে তার নাম প্রণয়।

৪১। যে ‘তৈল’ প্রতিবেশীকে স্নিগ্ধ করে রাখে তার নাম কী?

উত্তর: যে ‘তৈল’ প্রতিবেশীকে স্নিগ্ধ করে রাখে তার নাম মৈত্রী।

৪২। রেলের চাকায় তৈল হিসেবে কী দেয়া হয়?

উত্তর: রেলের চাকায় তৈল হিসেবে চর্বি দেয়া হয়

৪৩। দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ সামাল দিতে কীসের প্রয়োজন হয়?

উত্তর: দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ সামাল দিতে ‘রফা’ নামক ‘তৈল’ প্রয়োজন হয়।

৪৪। ‘তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে কার কোনো কিছুর অভাব হয় না?

উত্তর: ‘তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে যার তৈল আছে তার কোনো কিছুর অভাব হয় না।

৪৫। ‘তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে মানুষের সবচেয়ে বড় গুণ কোনটি?

উত্তর: ‘তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে মানুষের সবচেয়ে বড় গুণ ‘তৈল’ প্রদানের ক্ষমতা।

৪৬। “‘তৈল’ দিয়ে ‘তৈল’ বাহির করি।”- একথার তাৎপর্য কী?

উত্তর: “‘তৈল’ দিয়ে ‘তৈল’ বাহির করি।”-এ কথাটির দ্বারা কার্য হাসিল করা বুঝানো হয়েছে।

৪৭। ‘তৈল’ প্রবন্ধে তৈলের কোন শক্তির কথা ‍উল্লিখিত হয়েছে?

উত্তর: ‘তৈল’ প্রবন্ধে তৈলের অগ্নিনিবারণী ও সম্মিলনী শক্তির কথা ‍উল্লিখিত হয়েছে।

৪৮। তৈলের অগ্নিনিবারণী শক্তি’ বলতে কী বুঝানো হয়েছে?

উত্তর: তৈলের অগ্নিনিবারণী শক্তি’ বলতে শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা বুঝানো হয়েছে।

৪৯। তৈলের সম্মিলনী শক্তি কোন পদার্থের গুণ আত্মসাৎ করতে পারে না?

উত্তর: তৈলের সম্মিলনী শক্তি অন্য সকল প্রকার পদার্থের গুণাগুণ আত্মসাৎ করতে পারে না।

৫০। ‘তৈল’ বিদ্যা শেখার জন্য লেখক কোথায় যাওয়ার কথা বলেছেন?

উত্তর: ‘তৈল’ বিদ্যা শেখার জন্য লেখক বিলাত যাওয়ার কথা বলেছেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url