‘সংস্কৃতি-কথা’ প্রবন্ধের মূল বক্তব্য এবং অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ে যেসব প্রাবন্ধিক লেখালেখি করেছেন মোতাহের হোসেন চৌধুরী তাদের মধ্যে অন্যতম। শহর ও গ্রামের, শিক্ষিত ও অল্প শিক্ষিত বা নিরক্ষরের ধনীর ও দরিদ্রের শাসক ও শ্রমিকের সংস্কৃতির পার্থক্য স্বাভাবিকভাবে গভীর । বাংলাদেশের সংস্কৃতির বর্ণিল রূপটি ধরা পড়ে মোতাহের হোসেন চৌধুরীর রচনায়। মনস্বী ও চিন্তাশীল লেখক রূপে মোতাহের হোসেন চৌধুরীর বিশিষ্ট স্থান আছে। সংস্কৃতি বিষয়ে তিনি গভীর চিন্তা করেছেন। বাংলা প্রবন্ধ সাহিত্যের বুদ্ধিদীপ্ত সৃজনশীল ধারার উজ্জ্বল নক্ষত্র মোতাহের হোসেন চৌধুরী তার 'সংস্কৃতি-কথা' প্রবন্ধে সংস্কৃতির স্বরূপ, বৈশিষ্ট্য ও মহিমা নির্দেশ করেছেন। আত্মশুদ্ধি ও আত্ম অভিব্যক্তির মাধ্যমে মানুষ তার নিজ গুণাবলি উপলব্ধি করে ন্যায় ও উদারতায়, প্রেম ও পবিত্রতায় নিজেকে মহিমান্বিত করে তোলে। মানুষের জীবনকে শুভ ও কল্যাণবোধ দিয়ে বিকশিত ও সৌন্দর্যমণ্ডিত করে তোলাই সংস্কৃতির লক্ষ্য। বস্তুত ব্যক্তি সংস্কৃতিবান হলে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনও ত্বরান্বিত হয়। ব্যক্তি, সমাজ তথা জাতীয় জীবনে সংস্কৃতি চর্চার ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা 'সংস্কৃতি-কথা' প্রবন্ধে প্রতিফলিত হয়েছে।

সংস্কৃতি কথা - মোতাহের হোসেন চৌধুরী
সংস্কৃতি কথা - মোতাহের হোসেন চৌধুরী

 

 ‘সংস্কৃতি' হচ্ছে ইংরেজি 'Culture' শব্দের প্রতিশব্দ। এর মানে হচ্ছে জীবনের 'Values' সম্পর্কে ধারণা। নিজের অস্তিত্বকে পরিমার্জিত সত্তায় রূপান্তরিত করে আত্মার বিকাশ সাধনই সংস্কৃতি। সংস্কৃতি জীবনের মূল্যবোধ জাগ্রত করে। মূল্যবোধহীন জীবন. পঙ্গু এবং অথর্ব। সংস্কৃতিবান মানুষ জীবনকে ভালোবাসে, শ্রদ্ধা করে। শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং সৌন্দর্যবোধই মানুষকে সংস্কৃতিবান করে তোলে ।

জীবনই সংস্কৃতির প্রকৃত বাহন । জীবনের বাইরে সংস্কৃতির কোনো অস্তিত্ব নেই। সংস্কৃতি মানবজীবনকে পূর্ণতা দান করে তাকে অমৃতের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। সংস্কৃতির সংস্পর্শে মানুষ তার বিবেকবোধকে জাগ্রত করে মনের মধ্যে জ্বালিয়ে দেয় বিশ্বপ্রেমের অনির্বাণ শিখা । সংস্কৃতি মানে সুন্দরভাবে, বিচিত্রভাবে, মহৎভাবে বাঁচা । সংস্কৃতির স্বরূপ হলো মূল্যবোধ সম্পর্কে যথার্থ সচেতনতা । সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য : সংস্কৃতি মানুষকে সমৃদ্ধ জীবন সম্পর্কে ধারণা দেয়; সৌন্দর্য, নির্মল আনন্দ ও প্রেম সম্পর্কে অবহিত করে। ধর্ম ও সংস্কৃতি এক নয় । লেখকের মতে, “ধর্ম সাধারণ লোকের কালচার এবং কালচার শিক্ষিত ও মার্জিত লোকের ধর্ম।” ধৰ্ম মানে মানুষের জীবনের নিয়ন্ত্রণ। ধর্ম সাধারণ লোককে নিয়ন্ত্রিত করে আর সংস্কৃতি মার্জিত লোককে জীবন সম্পর্কে সচেতনতা এনে দেয় । সংস্কৃতিবান মানুষের চালক ধর্ম নয়; তাদের চালক সূক্ষ্ম চেতনাবোধ। আর এ সূক্ষ্ম চেতনাবোধের নামই হলো সংস্কৃতি ।

সংস্কৃতি বাইরে থেকে চাপিয়ে দেওয়া কোনো মতবাদ বা দর্শন নয়। এর মাধ্যমে মানুষের অন্তরে একটি নিজস্ব জীবনদর্শন জন্ম নেয় । সংস্কৃতিকে বলা যেতে পারে একটি আত্মগত ধর্ম, যা মানুষকে সত্য, সুন্দর, কল্যাণ, শুভ ও আনন্দের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে । জীবনের বাইরে মানুষের কোনো বিচরণক্ষেত্র নেই। কেউ ধর্মকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চায়। কেউ মনে করে ধর্ম বাইরের জিনিস, বেঁচে থাকার সার্থকতা ধর্মীয় অনুশাসনে নেই। মানুষকে বাঁচতে হবে সুন্দরের মধ্য দিয়ে। ধর্মে সুন্দরের সাধনা অবর্তমান। সুন্দরের সাধনা হলো সংস্কৃতি। সংস্কৃতি হলো মানুষের সৌন্দর্যবোধ এবং জীবনবোধের মহত্তর নির্যাস। সকল প্রকার সংস্কার থেকে মুক্ত হয়ে জীবনকে গভীরভাবে, ভীষণভাবে জানাই সংস্কৃতির প্রধান কাজ ।

সংস্কৃতি মানে জীবনের 'Values' সম্বন্ধে ধারণা। সংস্কারমুক্তি ও সংস্কৃতি এককথা নয়। সংস্কারমুক্তি সংস্কৃতির একটি শর্ত মাত্র। সংস্কৃতির অনিবার্য শর্ত হচ্ছে মূল্যবোধ। সংস্কারমুক্ত ছাড়াও সংস্কৃতি হতে পারে; কিন্তু মূল্যবোধ ছাড়া সংস্কৃতি অসম্ভব। সেজন্য জ্ঞানের প্রয়োজন আছে, বিজ্ঞানের প্রয়োজন আছে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন প্রেমের ।

সংস্কৃতিবান হওয়া মানে প্রেমবান হওয়া । প্রেমের তাগিদে বিচিত্র জীবনধারায় যে স্নাত হয়নি সে তো অসংস্কৃত। নারীকে বাদ দিয়ে বা উপেক্ষা করে জীবনধারণ সম্ভব নয়। প্রাবন্ধিক মনে করেন, নারীকে উপলক্ষ করেই সংস্কৃতির বিকাশ ঘটে। নারীর সৌন্দর্য ও প্রেরণা সংস্কৃতিবানদের কাম্য। যারা নারীকে জীবন থেকে বাদ দিতে চায় তারা কেবল মৃত্যুর আরাধনা করে। নারীকে উপেক্ষা করার অর্থ আত্মনির্যাতন । সংস্কৃতির মূল কথা হচ্ছে আত্মনিয়ন্ত্রণ, অর্থাৎ নিজের আইনে নিজেকে বাঁধা জীবনের সঙ্গে প্রেমের, জীবনের সঙ্গে সৌন্দর্যের একটি বিরাট সেতুবন্ধ। এক্ষেত্রে জীবনে প্রেমের উৎকর্ষ ও সৌন্দর্যের উজ্জ্বলতা তাৎপর্যমণ্ডিত করতে হলে সংস্কৃতিচর্চা অনিবার্য । অর্থাৎ জীবনের উচ্চতম মহিমা প্রকাশের পথ উন্মুক্ত হয় সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে।

সংস্কৃতিবান মানুষ সমাজের সাথে গভীরভাবে বন্ধন যুক্ত। এজন্য সংস্কৃতিবান মানুষ সংস্কার মুক্ত হতে পারে। মানুষ সংস্কৃতিবান হয়ে ওঠলেই কেবল সুন্দরভাবে জীবনধারণের প্রকৃত পথ পেতে পারে। মানুষে মানুষে প্রেম-ভালোবাসা, ধর্মে ধর্মে সম্প্রীতি, বিভিন্ন প্রকার কুসংস্কার দূর করে কেবল সংস্কৃতিই পারে বিশ্ব সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে ।

মোতাহের হোসেন চৌধুরীরমতে, সংস্কৃতি হচ্ছে জীবনের মূল্যবোধের ধারণা। এটি মানুষের আত্মশুদ্ধি ও আত্মঅভিব্যক্তির মাধ্যমে তাকে মহৎ ও উন্নত সত্তায় রূপান্তরিত করে। সংস্কৃতি মানুষের বিবেকবোধকে জাগ্রত করে এবং তাকে বিশ্বপ্রেম, সৌন্দর্য ও আনন্দের সঙ্গে সংযুক্ত করে।

লেখকের মতে, ধর্ম ও সংস্কৃতি এক নয়। তিনি বলেন, "ধর্ম সাধারণ লোকের কালচার এবং কালচার শিক্ষিত ও মার্জিত লোকের ধর্ম।" ধর্ম মানুষের জীবন নিয়ন্ত্রণ করে, কিন্তু সংস্কৃতি জীবন সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করে এবং মানুষকে সুন্দরের সাধনা করতে শেখায়। সংস্কৃতিবানদের চালক ধর্ম নয়, সূক্ষ্ম চেতনাবোধ। এই চেতনাবোধ মানুষকে সত্য, সুন্দর ও কল্যাণময় জীবনধারার দিকে ধাবিত করে।

সংস্কৃতির মূল লক্ষ্য হলো মানুষের জীবনকে সুন্দর, কল্যাণময় ও সমৃদ্ধ করা। এটি ব্যক্তি ও সমাজ উভয়ের ইতিবাচক পরিবর্তন ত্বরান্বিত করে। সংস্কৃতির মাধ্যমে মানুষ সৌন্দর্যবোধ, ভালোবাসা, এবং জীবন সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি অর্জন করে।

সংস্কৃতি মানুষের মূল্যবোধকে উদ্ভাসিত করে। 

এটি মানুষকে সৌন্দর্য, নির্মল আনন্দ ও প্রেমের চেতনা দেয়। 

সংস্কৃতি ব্যক্তি ও সমাজের মধ্যে একটি গভীর বন্ধন তৈরি করে। 

লেখকের মতে, নারীর সৌন্দর্য ও প্রেরণা সংস্কৃতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি বলেন, নারীর গুরুত্ব অস্বীকার করা মানে জীবনের সৌন্দর্য থেকে নিজেকে বঞ্চিত করা। নারীর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা সংস্কৃতির অপরিহার্য দিক।

লেখক উল্লেখ করেছেন যে সংস্কৃতি এবং সংস্কারমুক্তি এক নয়। সংস্কৃতি মূল্যবোধের উপর দাঁড়িয়ে থাকে। যদিও সংস্কারমুক্তি সংস্কৃতির একটি শর্ত, এটি সংস্কৃতির পূর্ণ বিকাশ নিশ্চিত করে না।

প্রেম হলো সংস্কৃতির অন্যতম মূল শর্ত। সংস্কৃতিবান মানুষ প্রেমবান হয়, এবং এই প্রেমের মাধ্যমে সে জীবনের সৌন্দর্য ও মহত্ত্ব উপলব্ধি করে।

সংস্কৃতি জীবনের সঙ্গে প্রেম ও সৌন্দর্যের এক বিরাট সেতুবন্ধন তৈরি করে। এটি মানুষে মানুষে প্রেম, ধর্মে ধর্মে সম্প্রীতি, এবং কুসংস্কার দূর করতে সক্ষম। বিশ্বসমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সংস্কৃতিচর্চা অপরিহার্য।

মোতাহের হোসেন চৌধুরী তার প্রবন্ধে সংস্কৃতির গভীর তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেছেন। তার দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, সংস্কৃতি মানুষের জীবনের সৌন্দর্য ও মহত্ত্ব প্রকাশের এক অসাধারণ মাধ্যম। সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে এবং ব্যক্তিকে ন্যায়, উদারতা ও কল্যাণময় জীবনে পরিচালিত করতে সংস্কৃতির গুরুত্ব অপরিসীম।

 নিভৃত বাংলার আপডেট পেতে Google News এ Follow করুন

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:

 

১। ‘সংস্কৃতি-কথা’ প্রবন্ধের রচয়িতার নাম কী?

উত্তর : ‘সংস্কৃতি-কথা' প্রবন্ধের রচয়িতার নাম মোতাহের হোসেন চৌধুরী ।

২। 'Culture' শব্দের অর্থ কী?

উত্তর : 'Culture' শব্দের অর্থ সংস্কৃতি বা কৃষ্টি ।

৩। ‘সংস্কৃতি-কথা' প্রবন্ধ অনুসারে কালচার কাদের ধর্ম?

উত্তর : 'সংস্কৃতি কথা' প্রবন্ধ অনুসারে কালচার শিক্ষিত ও মার্জিত লোকের ধর্ম ।

৪। ‘সংস্কৃতি কথা' প্রবন্ধ অনুসারে কালচার্ড মানুষ কী ধরনের?

উত্তর : ‘সংস্কৃতি-কথা' প্রবন্ধ অনুসারে কালচার্ড মানুষ স্বতন্ত্র সত্তা, আলাদা মানুষ ধরনের।

৫। ‘মার্জিত আলোকপ্রাপ্ত' বলতে লেখক কাদের বুঝিয়েছেন?

উত্তর : ‘মার্জিত আলোকপ্রাপ্ত' বলতে লেখক উন্নত জীবন সম্পর্কে সচেতন মানুষদের বুঝিয়েছেন ।

৬। সূক্ষ্ম চেতনার অপর নাম কী?

উত্তর : সূক্ষ্ম চেতনার অপর নাম আত্মা ।

৭.‘সংস্কৃতি কথা' প্রবন্ধে কালচার্ড লোকেরা সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করে কী?

উত্তর : ‘সংস্কৃতি কথা' প্রবন্ধে কালচার্ড লোকেরা সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করে অন্যায় ।

৮। লেখকের মতে মানুষকে কোন ধরনের শাস্তি দিতে গেলেও কালচার্ড লোকদের বুক কাঁপে?

উত্তর : লেখকের মতে মানুষকে ন্যায়সংগতভাবে শাস্তি দিতে গেলেও কালচার্ড লোকদের বুক কাঁপে।

৯। কালচারের কাজ কী?

উত্তর : ব্যক্তির ভিতরে ‘আমি’কে সুন্দর করে তোলাই কালচারের কাজ

১০। কালচারের আদেশ কী?

উত্তর : কালচারের আদেশ হলো নিজেকে বাঁচাও, নিজেকে মহান কর, সুন্দর কর, বিচিত্র কর ।

১১। কালচার্ড মানুষ কোথা থেকে প্রাণ পায়?

উত্তর : কালচার্ড মানুষ সমাজ থেকে প্রাণ পায় ।

১২. কালচার্ড মানুষ প্রয়োজনে সমাজের জন্য কী করতে প্রস্তুত থাকে?

উত্তর : কালচার্ড মানুষ প্রয়োজনে সমাজের জন্য নিজের প্রাণ দিতে প্রস্তুত থাকে ।

১৩. ‘সংস্কৃতি-কথা’ প্রবন্ধ অনুসারে সমাজের আদেশ কী?

উত্তর : ‘সংস্কৃতি-কথা' প্রবন্ধ অনুসারে সমাজের আদেশ দশের মধ্যে এক হও, এগারো হয়ো না ।

১৪. সংস্কৃতিবান মানুষ কী কারণে কাজে আনন্দ পায়?

উত্তর : সংস্কৃতিবান মানুষ ভালোবাসার অভিব্যক্তি আছে বলেই কাজে আনন্দ পায় ।

১৫. সংস্কৃতিবান মানুষের কাজের পুরস্কার কী?

উত্তর : সংস্কৃতিবান মানুষের কাজের পুরস্কার হলো তার আনন্দ ।

১৬। কে নিজের স্বর্গ নিজেই সৃষ্টি করে নেয়?

উত্তর : সংস্কৃতিবান মানুষেরা নিজের স্বর্গ নিজেই সৃষ্টি করে নেয় ।

১৭. সংস্কৃতিবান মানুষ কী উপায়ে নিজের অন্তরে গোলাপ ফুটিয়ে তোলে?

উত্তর : সংস্কৃতিবান মানুষ পরম বেদনায়, অসংখ্য দুঃখের কাঁটায় ক্ষত হয়ে নিজের অন্তরে গোলাপ ফুটিয়ে নেয়।

১৮. ধর্ম মানুষকে কী কী থেকে রক্ষা করতে চায়?

উত্তর : ধর্ম মানুষকে পাপ ও পতন থেকে রক্ষা করতে চায় ।

১৯। লেখকের মতে কালচারের বাহন কী?

উত্তর : লেখকের মতে কালচারের বাহন হলো শিল্পসাহিত্য।

২০. কালচার্ড মানুষ কী কারণে এত নারীসঙ্গ কামনা করে?

উত্তর : কালচার্ড মানুষ জীবনে তপস্যা করতে চায় বলে এত নারীসঙ্গ কামনা করে ।

২১. ‘সংস্কৃতি-কথা' প্রবন্ধে কারা নারী ও সংস্কৃতিকে পর ভাবে ?

উত্তর : ‘সংস্কৃতি-কথা' প্রবন্ধে বৈরাগীরা নারী ও সংস্কৃতিকে পর ভাবে ।

২২। লেখকের মতে কাদের জীবনে সত্যিকার বৃদ্ধি নেই?

উত্তর : লেখকের মতে বৈরাগীদের জীবনে সত্যিকার বৃদ্ধি নেই ।

২৩. লেখকের মতে কাকে ফ্রি থিংকার বলা হয়?

উত্তর : লেখকের মতে যে অসংখ্য সূক্ষ্ম চিন্তার বাঁধনে বাঁধা, তাকে ফ্রি থিংকার বলা হয় ।

২৪. ‘সংস্কৃতি কথা’ প্রবন্ধে কালচার্ড হওয়ার হেতু কী ?

উত্তর : ‘সংস্কৃতি কথা' প্রবন্ধে কালচার্ড হওয়ার হেতু হলো কালচার ।

২৫. সংস্কৃতি মানে জীবনের কোন দিক সম্পর্কে ধারণা?

উত্তর : সংস্কৃতি মানে জীবনের Value সম্পর্কে ধারণা ।

২৬. সংস্কৃতিবান হওয়া মানে কী?

উত্তর : সংস্কৃতিবান হওয়া মানে প্রেমবান হওয়া ।

২৭. কালচার্ড মানুষের মতানুসারে প্রগতি কী?

উত্তর : কালচার্ড মানুষের মতানুসারে প্রগতি হলো জ্ঞানের ব্যাপার বিশেষ করে বিজ্ঞান আর বিজ্ঞান প্ৰসূত জ্ঞান ।

২৮। “যত জীব, তত শিব।” একথাটি লেখক কোন প্রসঙ্গে বলেছেন?

উত্তর : “যত জীব, তত শিব।” একথাটি লেখক সংস্কৃতিবান হওয়ার উপায় প্রসঙ্গে বলেছেন ।

২৯. ‘সংস্কৃতি কথা' প্রবন্ধটি রচনার পিছনে লেখকের উদ্দেশ্য কী?

উত্তর : ‘সংস্কৃতি কথা’ প্রবন্ধটি রচনার পিছনে লেখকের উদ্দেশ্য হলো মানুষকে সংস্কৃতি সচেতন করে তোলা ।

৩০। মোতাহের হোসেন চৌধুরীর সংস্কৃতি বিষয়ক প্রবন্ধের নাম কী? 

উত্তর: সংস্কৃতি-কথা। 

৩১। সংস্কৃতির ইংরেজি প্রতিশব্দ কী? 

উত্তর: Culture। 

৩২। সংস্কৃতির লক্ষ্য কী? 

উত্তর: মানুষের জীবনকে শুভ ও কল্যাণবোধ দিয়ে বিকশিত করা। 

৩৩। সংস্কৃতি জীবনের কোন দিক জাগ্রত করে? 

উত্তর: মূল্যবোধ। 

৩৪। সংস্কৃতির প্রধান কাজ কী? 

উত্তর: জীবনকে গভীরভাবে জানানো। 

৩৫। ধর্ম ও সংস্কৃতির মধ্যে পার্থক্য কী? 

উত্তর: ধর্ম সাধারণ লোকের কালচার, সংস্কৃতি শিক্ষিত ও মার্জিত লোকের ধর্ম। 

৩৬। সংস্কৃতিবানদের চালক কী? 

উত্তর: সূক্ষ্ম চেতনাবোধ। 

৩৭। সংস্কৃতি মানুষের জীবনে কী সৃষ্টি করে? 

উত্তর: সৌন্দর্যবোধ এবং জীবনবোধ। 

৩৮। সংস্কৃতির মাধ্যমে মানুষ কী উপলব্ধি করে? 

উত্তর: সত্য, সুন্দর, কল্যাণ, শুভ ও আনন্দ। 

৩৯। সংস্কৃতির সংস্পর্শে মানুষের মধ্যে কী জাগ্রত হয়? 

উত্তর: বিবেকবোধ। 

৪০। সংস্কৃতির সাথে প্রেমের সম্পর্ক কী? 

উত্তর: সংস্কৃতিবান হওয়ার মানে প্রেমবান হওয়া। 

৪১। সংস্কৃতির প্রধান শর্ত কী? 

উত্তর: মূল্যবোধ। 

৪২। সংস্কৃতির জন্য সবচেয়ে বেশি কী প্রয়োজন? 

উত্তর: প্রেম। 

৪৩। সংস্কৃতিতে নারীর ভূমিকা কী? 

উত্তর: নারীর সৌন্দর্য ও প্রেরণা সংস্কৃতির বিকাশ ঘটায়। 

৪৪। সংস্কৃতি জীবনকে কীভাবে প্রভাবিত করে? 

উত্তর: জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করে। 

৪৫। সংস্কৃতি মানে কী? 

উত্তর: জীবনের 'Values' সম্পর্কে ধারণা। 

৪৬। সংস্কৃতি বাইরে থেকে চাপিয়ে দেওয়া কোনো মতবাদ কি? 

উত্তর: না। 

৪৭। সংস্কৃতিবান মানুষ কাদের সাথে গভীরভাবে যুক্ত থাকে? 

উত্তর: সমাজের সাথে। 

৪৮। সংস্কৃতি মানুষের জীবনে কীভাবে প্রভাব ফেলে? 

উত্তর: ইতিবাচক পরিবর্তন ত্বরান্বিত করে। 

৪৯। সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য কী? 

উত্তর: সৌন্দর্য, নির্মলআনন্দ ও প্রেম সম্পর্কে অবহিত করা। 

৫০। সংস্কৃতির মাধ্যমে কী সম্ভব? 

উত্তর: বিশ্ব সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা। 

৫১। সংস্কৃতির মূল কথা কী? 

উত্তর: আত্মনিয়ন্ত্রণ। 

৫২। সংস্কৃতি জীবনের বাইরে কী? 

উত্তর: সংস্কৃতির কোনো অস্তিত্ব নেই। 

৫৩। ধর্ম এবং সংস্কৃতির উদ্দেশ্যে পার্থক্য কী? 

উত্তর: ধর্ম নিয়ন্ত্রণ করে, সংস্কৃতি সচেতনতা তৈরি করে। 

৫৪। সংস্কৃতি কীভাবে জীবনকে সমৃদ্ধ করে? 

উত্তর: সৌন্দর্য, প্রেম ও আনন্দের মাধ্যমে। 

৫৫। সংস্কৃতির আরেক নাম কী? 

উত্তর: সূক্ষ্ম চেতনাবোধ। 

৫৬। সংস্কৃতির প্রধান মাধ্যম কী? 

উত্তর: জীবন। 

৫৭। সংস্কৃতি কীভাবে প্রেমের সঙ্গে যুক্ত? 

উত্তর: প্রেমের মাধ্যমে সংস্কৃতিবানরা সৌন্দর্যের সাধনা করে। 

৫৮। সংস্কৃতির চূড়ান্ত লক্ষ্য কী? 

উত্তর: জীবনের উচ্চতম মহিমা প্রকাশ। 

৫৯। সংস্কৃতি মানুষকে কী শেখায়? 

উত্তর: সুন্দরভাবে, বিচিত্রভাবে ও মহৎভাবে বাঁচতে। 

৬০। সংস্কৃতির অনিবার্য উপাদান কী? 

উত্তর: মূল্যবোধ। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url