‘পথ জানা নাই’ গল্পের মূলভাব ও অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
‘পথ জানা নাই’ গল্পের মাউলতলা শুধু একটি গ্রামই নয়, যেন গোটা প্রাচীন বাংলা। এ মাউলতলা গ্রামের সামান্য কৃষক গফুর আলী ওরফে গহুরালি মাত্র পাঁচকুড়া জমির মালিক। শহর ফেরত জোনাবালি হাওলাদারের ইচ্ছে হয় শহরের সঙ্গে মাউলতলার একটি সংযোগ সড়ক নির্মাণ করবে। তাতে গহুরালির পাঁচকুড়া জমির মধ্যে দুই কুড়াই সড়কের পেটে চলে যাবে। গহুরালি আপত্তি করে না তাতে। কারণ জোনাবালি বলেছে, সড়ক হলে আয় রোজগারের অনেক রাস্তা খুলে যাবে, নতুন জীবন হবে, জীবনে সমৃদ্ধি আসবে। জোনাবালির মতো মানুষ, দশ বছর আগেও যার বাবা দিনমান খেটে এক মুঠো অন্নের সংস্থান করতে পারতো না, অথচ তারই পুত্র শহরের কল্যাণে অগাধ ধন সম্পদের মালিক এখন। এ দৃষ্টান্তে কেউ আর বাধা দেয় না, নির্বিঘ্নে রাস্তা হয়, মাউলতলার পরিবর্তন হতে থাকে ধীরে ধীরে। গ্রামবাসীর মতো গরুরালিরও আয় রোজগার বাড়তে থাকে। বছর তিনেকের মধ্যে খড়ের ঘরের চাল ফেলে সে টিন তুলে ফেলে। শহরগামী সড়কের কারণে মাউলতলার সংস্কৃতির পরিবর্তনের পাশাপাশি বহুদিনের শান্তিপূর্ণ গ্রামটিতে অশান্তিও হানা দিতে থাকে। সাদামাটা সরল জীবনে আসতে থাকে কূটবুদ্ধি আর কৌশলের দড়িজাল। তারপর ইংরেজ শাসনের শেষদিকে এ গ্রামে দুর্ভিক্ষ হানা দেয়। ফলে দাম চড়ে সব জিনিসের, কমে শুধু জীবনের। রোগব্যধি, চোরাবাজার আর দুর্নীতির উত্তাল জোয়ার আসে। সুশাসনে নিযুক্ত সরকারি কর্মচারী আসে এ রাস্তা ধরে, আবার ঘুষ পকেটে নিয়ে ফিরে যায়। ঘটনাচক্রে তাদের একজনের সাথে গহুরালির পরিচয় হয়, ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে গহুরালি তার স্ত্রী হাজেরাকে খুঁজে পায় না। হাজেরা মিলিটারির দালালের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। অতঃপর গহুরালি একদিন একটি কোদাল নিয়ে রাস্তাটি কোপাতে থাকে। এ রাস্তা সে কেটে ফেলবে। কারণ এ রাস্তা দিয়েই গ্রামে এসেছে সমস্ত অশান্তি, এ রাস্তাই টেনে নিয়ে গেছে তার ঘরের মানুষটিকে। তাই রাস্তাটি সে আর রাখবে না। রাস্তা তৈরি ছিলো একটি ভুল।
কথায় আছে, বন্যা যখন আসে তখন বদ্ধ বদ্ধ জলাশয়ের মাছগুলোকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়, আবার কিছু মাছ বন্যার জলের সঙ্গে ঢুকেও পড়ে। অর্থাৎ মাউলতলার ঐ রাস্তা দিয়ে বন্যার জল ঢুকেছে। এ বন্যা মাউলতলাবাসীকে যা দিয়েছে, সমপরিমাণ নিয়েও গেছে। প্রাপ্তি ও হারানো সমান সমান। এ কারণে মাউলতলার সমস্যার সঠিক কোনো সমাধান পাওয়া যায় না বলেই গল্পের নাম ‘পথ জানা নাই’। অর্থাৎ সমস্যা সমাধানের পথটি অজানা।
শামসুদ্দীন আবুল কালাম ছিলেন একজন ব্যতিক্রমী সাহিত্যিক, যিনি সাধারণ মানুষের জীবনের অন্তর্গত চিত্রগুলো গভীর মমতা ও শৈল্পিক দক্ষতায় উপস্থাপন করতেন। তার লেখা ‘পথ জানা নাই’ গল্পে এই প্রতিভার উজ্জ্বল উদাহরণ পাওয়া যায়। গল্পটি নির্দিষ্টভাবে ‘মাউলতলা’ নামক একটি গ্রামের পটভূমিতে নির্মিত হলেও, এটি গ্রামবাংলার চিরন্তন ও অবহেলিত জীবনের প্রতীকী চিত্র। মাউলতলা হলো একসময়কার স্বয়ংসম্পূর্ণ কৃষি-সমাজের প্রতিরূপ, যেখানে প্রাকৃতিক সম্পদ ও মানবিক সম্পর্কের সহজাত সৌন্দর্য ছিল অটুট। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় দুর্ভোগ ও অবক্ষয়ের ছোবলে সেই গ্রামীণ ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে থাকে, ঠিক যেমন গল্পে মাউলতলার কৃষিসম্পদ এবং গহুরালির বউ হাজেরা হারিয়ে যায়।
গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র গফুর আলী, যাকে সবাই গহুরালি বলে ডাকে, মাউলতলার একজন সাধারণ কৃষক। তার পাঁচকুড়া জমি দিয়ে জীবিকা নির্বাহ হয়। শহর ফেরত ধনী জোনাবালি হাওলাদার গ্রামের সঙ্গে শহরের সংযোগ স্থাপনে একটি রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। রাস্তার জন্য গহুরালির জমির দুই কুড়া জমি দখল করতে হবে। গহুরালি এতে আপত্তি করে না, কারণ জোনাবালি তাকে আশ্বাস দেয়, সড়ক নির্মাণ হলে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির সুযোগ তৈরি হবে। বাস্তবেও রাস্তা নির্মাণের পর গহুরালির আয়-রোজগার বাড়ে, তার খড়ের ঘর টিনের ঘরে পরিণত হয়।
তবে শহরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের ফলে মাউলতলায় পরিবর্তনের হাওয়া বইতে শুরু করে। ঐতিহ্যবাহী শান্ত গ্রামীণ জীবনের জায়গায় আসে কৌশল, চতুরতা এবং বিভেদের দোলাচল। একসময় ইংরেজ শাসনের শেষদিকে দুর্ভিক্ষ আঘাত হানে। খাদ্যের সংকট, চোরাবাজার, দুর্নীতি, এবং অসুস্থ পরিবেশ গ্রামবাসীর জীবনকে অসহনীয় করে তোলে। সরকারি কর্মচারীরা রাস্তা দিয়ে আসা-যাওয়া করে; কেউ দুর্নীতি করে, কেউ বা গ্রামের শান্তি নষ্ট করে। এমনই এক কর্মচারীর সঙ্গে গহুরালির ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। কিন্তু একদিন সে আবিষ্কার করে, তার স্ত্রী হাজেরা তাকে ছেড়ে এক দালালের সঙ্গে পালিয়ে গেছে।
স্ত্রীর চলে যাওয়ার শোক এবং গ্রামের পরিবর্তনের ধাক্কায় গহুরালি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। একদিন সে কোদাল হাতে নিয়ে রাস্তা কাটা শুরু করে। তার বিশ্বাস, এই রাস্তা গ্রামে দুর্ভাগ্য এনে দিয়েছে এবং তার পরিবারের সুখ কেড়ে নিয়েছে। তাই এই রাস্তা সে আর রাখবে না। রাস্তা নির্মাণ ছিল তার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল।
গল্পের শেষাংশে লেখক প্রতীকী ভাষায় বোঝাতে চান যে, উন্নয়নের নামে যে পরিবর্তন আসে, তা একপাক্ষিক নয়। ঠিক যেমন বন্যার জল ভাসিয়ে নিয়ে যায় জলাশয়ের মাছ, তেমনি কিছু নতুন মাছও সেই জলে ঢুকে পড়ে। মাউলতলার রাস্তা যেমন কিছু প্রাপ্তি এনেছে, তেমনই সমানভাবে নিয়ে গেছে শান্তি, ঐতিহ্য এবং মূল্যবোধ।
গল্পের শিরোনাম ‘পথ জানা নাই’ এই অসহায়তাকেই প্রতিফলিত করে। সমস্যার সমাধানের পথ যেন কোথাও অজানা রয়ে যায়। এটি শুধু মাউলতলার নয়, বরং আমাদের সামগ্রিক সামাজিক জীবনের বাস্তবতাকেও তুলে ধরে।
নিভৃত বাংলার আপডেট পেতে Google News এ Follow করুন
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:
১। মাউলতলার সড়ক দিয়ে কে এসে ঘুষ নিয়ে যায়?
উত্তর: মাউলতলার সড়ক দিয়ে সুশাসনে নিযুক্ত সরকারি কর্মচারী এসে ঘুষ নিয়ে যায়
২। একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে গহুরালি কাকে খুঁজে পায় না?
উত্তর: একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে গহুরালি তার স্ত্রী হাজেরাকে খুঁজে পায় না
৩। হাজেরা কার হাত ধরে গহুরালির সংসার ছাড়ে?
উত্তর: হাজেরা মিলিটারির দালালের হাত ধরে গহুরালির সংসার ছাড়ে
৪। মন্বন্তর গহুরালিকে কোন দিক থেকে নিঃস্ব করে?
উত্তর: মন্বন্তর গহুরালিকে বাইরের দিক থেকে নিঃস্ব করে
৫। কে ক্ষিপ্তের মতো সড়কের দিকে ছুটে যায়?
উত্তর: গহুরালি ক্ষিপ্তের মতো সড়কের দিকে ছুটে যায়
৬। গহুরালির সব দুর্দশার মূলে কোন জিনিসটি?
উত্তর: গহুরালির সব দুর্দশার মূলে নয়া সড়কটি
৭। ‘ভুল, ভুল অইছিলো এ রাস্তা বানাইন্যা’- কে কার উদ্দেশ্যে একথাটি বলেছে?
উত্তর: ‘ভুল, ভুল অইছিলো এ রাস্তা বানাইন্যা’- গহুরালি গ্রামবাসীদের উদ্দেশ্যে একথাটি বলেছে
৮। ‘পথ জানা নাই’ গল্পটির রচয়িতা কে?
উত্তর: ‘পথ জানা নাই’ গল্পটির রচয়িতা শামসুদ্দীন আবুল কালাম
৯। শামসুদ্দীন আবুল কালাম এর প্রকৃত নাম কী?
উত্তর: শামসুদ্দীন আবুল কালাম এর প্রকৃত নাম আবুল কালাম শামসুদ্দীন
১০। ‘পথ জানা নাই’ ছোটগল্পে বর্ণিত গ্রামের নাম কী?
উত্তর: ‘পথ জানা নাই’ ছোটগল্পে বর্ণিত গ্রামের নাম মাউলতলা
১১। ‘পথ জানা নাই’ গল্পের মূল উপজীব্য কী?
উত্তর: ‘পথ জানা নাই’ গল্পের মূল উপজীব্য নগর সভ্যতার নগ্নরূপ
১২। ‘পথ জানা নাই’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র কোনটি?
উত্তর: ‘পথ জানা নাই’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র গফুর আলী ওরফে গহুরালি
১৩। গহুরালির প্রকৃতি নাম কী?
উত্তর: গহুরালির প্রকৃতি নাম গফুর আলী
১৪। গহুরালি কোদাল দিয়ে কী ক্ষতবিক্ষত করছিলো?
উত্তর: গহুরালি কোদাল দিয়ে মাউলতলা গ্রামের একমাত্র সড়কটাকে ক্ষতবিক্ষত করছিলো
১৫। মাউলতলা গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা কী ধরনের ছিলো?
উত্তর: মাউলতলা গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা ছিলো মধ্যযুগীয়
১৬। কোন সময় পর্যন্ত মাউলতলা স্বীয় স্বাতন্ত্র্য নিয়ে বেঁচে ছিলো?
উত্তর: সড়কটি নির্মাণ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত মাউলতলা স্বীয় স্বাতন্ত্র্য নিয়ে বেঁচে ছিলো
১৭। মাউলতলা গ্রামের একজন পুরুষ কত বছর পূর্বে গ্রাম ছেড়েছিলো?
উত্তর: মাউলতলা গ্রামের একজন পুরুষ ৪০ বছর পূর্বে গ্রাম ছেড়েছিলো
১৮। মাউলতলা গ্রাম ছেড়ে যাওয়া তরণটির নাম কী?
উত্তর: মাউলতলা গ্রাম ছেড়ে যাওয়া তরণটির নাম জোনাবালি হাওলাদার
১৯। ‘মোডে পাঁচকুড়া আমার ভুঁই, হেয় দুই কুড়াই সড়কে খাইলে আমি খামু কী?’- উক্তিটি কার?
উত্তর: ‘মোডে পাঁচকুড়া আমার ভুঁই, হেয় দুই কুড়াই সড়কে খাইলে আমি খামু কী?’- উক্তিটি গহুরালির
২০। গহুরালির স্ত্রীর নাম কী?
উত্তর: গহুরালির স্ত্রীর নাম হাজেরা
২১। ‘রাস্তা আমাগো অইলেই বা কী, না অইলেই বা কী?’- উক্তিটি কার?
উত্তর: ‘রাস্তা আমাগো অইলেই বা কী, না অইলেই বা কী?’- উক্তিটি গহুরালির স্ত্রী হাজেরার
২২। ‘এ কী কেবল সড়ক! এটা নোতুন জীবনের রাস্তা।’- গহুরালির আবৃত্তি করা কথাটি মূলত কার?
উত্তর: ‘এ কী কেবল সড়ক! এটা নোতুন জীবনের রাস্তা।’- গহুরালির আবৃত্তি করা কথাটি মূলত জোনাবালি হাওলাদারের
২৩। ‘যা আরম্ভ করলা, শেষ কালে আমাগোও না বাজারে লইয়া যাও।’- পরিহাস ছলে কে কাকে একথাটি বলেছে?
উত্তর: ‘যা আরম্ভ করলা, শেষ কালে আমাগোও না বাজারে লইয়া যাও।’- পরিহাস ছলে হাজেরা গহুরালিকে একথাটি বলেছে
২৪। কোন জিনিসের প্রভাবে মাউলতলা জটিল হয়ে ওঠে?
উত্তর: নতুন সড়কের প্রভাবে মাউলতলা জটিল হয়ে ওঠে
২৫। মাউলতলার সড়ক বেয়ে মন্বন্তর কখন আসে?
উত্তর: মাউলতলার সড়ক বেয়ে বিশ্বযুদ্ধের সময় মন্বন্তর আসে
২৬। দুর্ভিক্ষ মাউলতলায় কী বয়ে আনে?
উত্তর: দুর্ভিক্ষ মাউলতলায় রোগব্যাধি, চোরাবাজার ও দুর্নীতির উত্তাল জোয়ার বয়ে আনে
২৭। ‘পথ জানা নাই’ গল্পের লেখক কে?
উত্তর: শামসুদ্দীন আবুল কালাম।
২৮। গল্পের পটভূমি কোথায় স্থাপিত?
উত্তর: মাউলতলা গ্রামে
২৯। গফুর আলীর আরেক নাম কী?
উত্তর: গহুরালি।
৩০। গহুরালির জমির পরিমাণ কত?
উত্তর: পাঁচকুড়া।
৩১। মাউলতলার সঙ্গে শহরের সংযোগ স্থাপনকারী কে?
উত্তর: জোনাবালি হাওলাদার।
৩২। জোনাবালি কী নির্মাণ করেন?
উত্তর: সড়ক।
৩৩। গহুরালির জমির কত অংশ সড়কে চলে যায়?
উত্তর: দুই কুড়া।
৩৪। গহুরালির স্ত্রী কে?
উত্তর: হাজেরা।
৩৫। জোনাবালির বাবা কেমন ছিলেন?
উত্তর: দরিদ্র।
৩৬। রাস্তা নির্মাণের পর গহুরালির ঘর কেমন হয়?
উত্তর: টিনের ঘর।
৩৭। গল্পের গ্রাম মাউলতলা কীসের প্রতীক?
উত্তর: গ্রামবাংলার ঐতিহ্য।
৩৮। মাউলতলার পরিবর্তন কী এনে দেয়?
উত্তর: অশান্তি।
৩৯। ইংরেজ শাসনের শেষদিকে গ্রামে কী আঘাত হানে?
উত্তর: দুর্ভিক্ষ।
৪০। দুর্ভিক্ষে কোন জিনিসের দাম কমে?
উত্তর: জীবনের।
৪১। দুর্ভিক্ষে কোন জিনিসের দাম বাড়ে?
উত্তর: খাদ্যের।
৪২। রাস্তা দিয়ে গ্রামে কী আসে?
উত্তর: চোরাবাজার, দুর্নীতি।
৪৩। গহুরালির স্ত্রীর কী হয়?
উত্তর: পালিয়ে যায়।
৪৪। গহুরালির স্ত্রী কার সঙ্গে পালায়?
উত্তর: মিলিটারির দালালের সঙ্গে।
৪৫। গহুরালি রাস্তায় কী করতে শুরু করে?
উত্তর: কোদাল দিয়ে রাস্তা কাটতে।
৪৬। গহুরালি রাস্তা কেন কাটে?
উত্তর: অশান্তির কারণ মনে করে।
৪৭। গহুরালির জীবন কোন কারণে বিপর্যস্ত হয়?
উত্তর: রাস্তার প্রভাবে।
৪৮। গল্পের শিরোনাম কী বোঝায়?
উত্তর: সমস্যার সমাধানের অজানা পথ।
৪৯। জোনাবালি গ্রামে কী আশ্বাস দেয়?
উত্তর: সমৃদ্ধির।
৫০। জোনাবালির আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন কীসের কারণে হয়?
উত্তর: শহরের কল্যাণে।
৫১। গহুরালির প্রথম ঘর কীসের তৈরি ছিল?
উত্তর: খড়ের।
৫২। রাস্তার কারণে মাউলতলার সংস্কৃতিতে কী আসে?
উত্তর: পরিবর্তন।
৫৩। গল্পে রাস্তার ভূমিকা কী?
উত্তর: উন্নয়ন ও অশান্তির মাধ্যম।
৫৪। রাস্তা নির্মাণের ফলে গ্রামে কী হারিয়ে যায়?
উত্তর: শান্তি ও ঐতিহ্য।
৫৫। গল্পের মূল বার্তা কী?
উত্তর: পরিবর্তনের ভালো-মন্দ উভয় দিক রয়েছে।
৫৬। ‘পথ জানা নাই’গল্পের প্রধান চরিত্র কে?
উত্তর: গহুরালি।