একরাত্রি গল্পের বিষয়বস্তু ও একরাত্রি গল্পের ছোট প্রশ্ন ও উত্তর:

 একরাত্রি গল্পের বিষয়বস্তু ও একরাত্রি গল্পের ছোট প্রশ্ন ও উত্তর:

একটি রাতের সান্নিধ্য – এর মধ্যে প্রেম, ভালোলাগা, ভালোবাসা, বিরহ যন্ত্রণা সব মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। এককালের অবহেলার পাত্রী বাল্যসখী সুরবালা সবকিছু ছেড়ে দিয়ে সেই বিপদের রাতে নায়কের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। সুরবালাকে এত কাছে পেয়েও নায়ক তাকে কিছুই বলতে পারেনি। নায়কের জীবনে সেই রাতের মর্মযন্ত্রণাটা চির অক্ষয় হয়ে আছে।


একরাত্রি গল্পের বিষয়বস্তু ও একরাত্রি গল্পের ছোট প্রশ্ন ও উত্তর:

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, নিভৃত বাংলা ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি। বিগত পোস্টগুলোতে ডিগ্রি ২য় বর্ষের বাংলা জাতীয় ভাষা গ্রন্থের অন্তর্গত নির্বাচিত কবিতা অংশের প্রত্যেকটি কবিতার মূলভাব এবং অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করেছি। আজ থেকে নির্বাচিত গল্পের যাত্রা শুরু হলো। আজকের পর্বে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি অমর সৃষ্টি, বাংলা সাহিত্যের একটি অমূল্য সম্পদ, লাখো পাঠকের হৃদয় হরণকারী ছোটগল্প ‘একরাত্রি’ নিয়ে কথা বলবো। এ পর্বে একরাত্রি গল্পের মূলভাব এবং পরীক্ষায় কমন উপযোগী কিছু অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করবো।

 



 

তো চলো কথা না বাড়িয়ে আগে জেনে নিই একরাত্রি গল্পের সারাংশ

 

একরাত্রি গল্পের মর্মকথা / একরাত্রি গল্পের সারমর্ম / একরাত্রি গল্পের ভাবার্থ / একরাত্রি গল্পের সার সংক্ষেপ / একরাত্রি গল্পের মূলকথা / একরাত্রি গল্পের মূল বক্তব্য / একরাত্রি গল্পের ব্যাখ্যা / একরাত্রি গল্পের মূলভাব:

মানুষের জীবন যেমন বিচিত্র তেমনি জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাপ্রবাহগুলিও আরও বেশি বিচিত্র। এসব বিচিত্র ঘটনাগুলির মধ্যে প্রেম, ভালোলাগা, ভালোবাসা, বিরহ যন্ত্রণা সব একাকার হয়ে মিশে আছে। এগুলো কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এগুলি মানুষের জীবনে অহরহ ঘটছে। আর বলা যায়, এগুলিই মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একরাত্রি গল্পতেও এমনই এক বিচিত্র ঘটনার সন্ধান পাওয়া যায় যেখানে প্রেম, ভালোলাগা, ভালোবাসা, বিরহ যন্ত্রণা সবকিছুকে ছাপিয়ে একটি বিপদের রাতে নায়িকাকে কাছে পাওয়াটা নায়কের সারা জীবনের মর্মযন্ত্রণার কারণ হয়েছে। সেই রাত একদিকে যেমন নায়কের সারা জীবনের একমাত্র সুখস্মৃতি, তেমনি নায়িকাকে এতটা কাছে পেয়েও কিছুই বলতে না পারার বেদনায় জর্জরিত।

একরাত্রি গল্পের কথক বা নায়কের বাল্য সখী সুরবালা। বাল্যকাল থেকেই তাদের পরিচয় এবং প্রণয়। একসময় তারা প্রকৃতির নিয়মে বড় হয়। নায়কের দুর্দমনীয় উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য সে একদিন বাড়ি থেকে কলকাতা শহরে পালিয়ে যায়। সেখানে কলেজে ভর্তি হয় এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে থাকে। এমন সময় নায়কের পিতা সুরবালার পিতার সাথে পরামর্শ করে তার পুত্রের সাথে সুরবালার বিয়ের সম্বন্ধ স্থির করে। কিন্ত সে সময় একরাত্রি গল্পের নায়ক রাজনীতি নিয়ে এতটাই মত্ত যে, সুরবালাকে বিয়ে করাটাকে সে কোনো কাজ বলেই গণ্য করে না। অর্থাৎ নায়ক বিয়েতে রাজি হলো না। ফলে সুরবালার অন্য পাত্রের সঙ্গে বিয়ে হয়ে গেলো। এর মধ্যে নায়কের পিতার আকস্মিক মৃত্যু হলো। বাধ্য হয়ে সংসারের হাল ধরতে নায়ক পড়ালেখা বাদ দিয়ে এক পাড়াগাঁয়ের স্কুলে সেকেন্ড মাস্টারের চাকরি নিলো। সেখানেই নায়ক সুরবালাকে নতুনভাবে আবিষ্কার করলো এবং এককালের অবহেলার পাত্রী সেই সুরবালাকেই সত্যিকার অর্থে ভালোবেসে ফেললো। সুরবালার স্বামীর বাড়িতে একদিন নায়কের সাথে সুরবালার অদৃশ্য সাক্ষাৎ হয়। এ ঘটনার পর থেকে সুরবালার প্রতি নায়কের প্রেম ও আকর্ষণ দুই-ই বাড়তে থাকে। কিন্তু সুরবালা তখন পরস্ত্রী। একদিন ঝড় জলোচ্ছ্বাসের রাতে সুরবালা কোনো উপায় না দেখে অপেক্ষাকৃত উঁচুস্থান স্কুলঘরে আশ্রয় নিতে এসেছিলো। পানি পার হয়ে সে স্কুলের পুকুরপাড়ের উঁচু জায়গায় এসে দাঁড়ায়। অপরদিকে তাকে বাঁচানোর জন্য তার বাড়ির দিকেই যাচ্ছিলো স্কুলের সেকেন্ড মাস্টার তথা একরাত্রি গল্পের নায়ক। হঠাৎ তারা দুজন মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যায়। সে সময় তারা দুজন শুধু নিরবে নিভৃতে দাঁড়িয়েই থাকে, কেউ কোনো কথা বলেনি।

সেই একটি রাতের সান্নিধ্য – এর মধ্যে প্রেম, ভালোলাগা, ভালোবাসা, বিরহ যন্ত্রণা সব মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। এককালের অবহেলার পাত্রী বাল্যসখী সুরবালা সবকিছু ছেড়ে দিয়ে সেই বিপদের রাতে নায়কের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। সুরবালাকে এত কাছে পেয়েও নায়ক তাকে কিছুই বলতে পারেনি। নায়কের জীবনে সেই রাতের মর্মযন্ত্রণাটা চির অক্ষয় হয়ে আছে।

 

 

একরাত্রি গল্পের অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, এবার একরাত্রি গল্প থেকে পরীক্ষায় কমন উপযোগী কয়েকটি অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর তুলে ধরছি। মূল বক্তব্য আলোচনা থেকে আশাকরি সহজভাবে বুঝতে পেরেছো। এবার অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলি দেখে আয়ত্ত করে নাও।

 

১। সুরবালার স্বামীর নাম কী? [জা.বি ২০১৯, ২০১৬]

উত্তর: সুরবালার স্বামীর নাম রামলোচন রায়।

 

২। একরাত্রি গল্পের নায়িকার নাম কী? [জা.বি ২০১৭]

উত্তর: একরাত্রি গল্পের নায়িকার নাম সুরবালা।

 

৩। একরাত্রি গল্পের নায়ক কী হতে চেয়েছিলেন? [জা.বি ২০১৫]

উত্তর: একরাত্রি গল্পের নায়ক কালেক্টর সাহেবের নাজির অথবা জজ সাহেবের সেরেস্তাদার হতে চেয়েছিলেন।

 

৪। একরত্রি গল্পটির রচয়িতা কে?

উত্তর: একরাত্রি গল্পটির রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

 

৫। একরাত্রি গল্পের নায়কের ভাবনায় মনুষ্য সমাজ কী?

উত্তর: একরাত্রি গল্পের নায়কের ভাবনায় মনুষ্য সমাজ একটি জটিল ভ্রমের জাল।

 

৬। সুরবালার মা আপনা-আপনি কী বলাবলি করতেন?

উত্তর: সুরবালার মা আপনা-আপনি বলাবলি করতেন ‘আহা, দুটিতে বেশ মানায়।’

 

৭। ‘তৎক্ষণাৎ দুখানি চোখ আমার মনে পড়িয়া গেল’ – এ দুখানি চোখ কার?

উত্তর: ‘তৎক্ষণাৎ দুখানি চোখ আমার মনে পড়িয়া গেল’ – এ দুখানি চোখ সুরবালার।

 

৮। একরাত্রি গল্পের নায়ক কার প্রতি শাসন ও উপদ্রব করতেন?

উত্তর: একরাত্রি গল্পের নায়ক সুরবালার প্রতি শাসন ও উপদ্রব করতেন।

 

৯। একরাত্রি গল্পে স্কুল ঘরের অনতিদূরে কার বাসা ছিল?

উত্তর: একরাত্রি গল্পে স্কুল ঘরের অনতিদূরে সরকারি উকিল রামলোচন রায়ের বাসা ছিল।

 

১০। কে কলকাতায় পালিয়ে গিয়ে লেখাপড়া শিখে কালেক্টার সাহেবের নাজির হয়েছে?

উত্তর: নীলরতন কলকাতায় পালিয়ে গিয়ে লেখাপড়া শিখে কালেক্টার সাহেবের নাজির হয়েছে।

 

১১। একরাত্রি গল্পে স্কুলঘরটির অবস্থান কোথায় ছিল?

উত্তর: একরাত্রি গল্পে স্কুলঘরটির অবস্থান ছিল লোকালয় হতে কিছু দূরে একটি বড় পুষ্করিণীর ধারে।

 

১২। মাটসীনি, গারিবালডি কে?

উত্তর: মাটসীনি, গারিবালডি ইতালির প্রখ্যাত দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ।

 

১৩। সেকেন্ড মাস্টার কোথায় বাস করতেন?

উত্তর: সেকেন্ড মাস্টার স্কুলের বড় আটচালা সংলগ্ন একটি চালায় বাস করতেন।

 

১৪। একরাত্রি গল্পে কে সুরবালার সাথে নায়কের বিবাহের জন্য উদ্যোগী হলেন?

উত্তর: একরাত্রি গল্পে নায়কের পিতা সুরবালার সাথে নায়কের বিবাহের জন্য উদ্যোগী হলেন।

 

১৫। একরাত্রি গল্পের নায়ক বহু চেষ্টায় কোন পদে চাকরি পায়?

উত্তর: একরাত্রি গল্পের নায়ক বহু চেষ্টায় এনট্রান্স স্কুলের সেকেন্ড মাস্টার পদে চাকরি পায়।

 

১৬। একরাত্রি গল্পের নায়ক কত বছর বয়সে কলকাতায় পালিয়ে এসেছিলেন?

উত্তর: একরাত্রি গল্পের নায়ক পনেরো বছর বয়সে কলকাতায় পালিয়ে এসেছিলেন।

 

১৭। সুরবালার বিয়ের সময় একরাত্রি গল্পের নায়ক কী কাজে ব্যস্ত ছিলেন?

উত্তর: সুরবালার বিয়ের সময় একরাত্রি গল্পের নায়ক পতিত ভারতের চাঁদা আদায় কাজে ব্যস্ত ছিলেন।

 

১৮। একরাত্রি গল্পের নায়ক বহু চেষ্টায় কোথায় চাকরি পান?

উত্তর: একরাত্রি গল্পের নায়ক বহু চেষ্টায় নওয়াখালি বিভাগের একটি ছোট শহরে চাকরি পান।

 

১৯। একরাত্রি গল্পের নায়ক যখন কলকাতায় পালিয়ে আসেন তখন সুরবালার বয়স কত ছিল?

উত্তর: একরাত্রি গল্পের নায়ক যখন কলকাতায় পালিয়ে আসেন তখন সুরবালার বয়স ছিল আট বছর।

 

২০। একরাত্রি গল্পের নায়কের তুচ্ছ জীবনের চরম সার্থকতা কী?

উত্তর: একরাত্রি গল্পের নায়কের তুচ্ছ জীবনের চরম সার্থকতা হলো একটি ঝড়ের রাত্রি, যে রাত্রিতে গল্পের নায়ক ও সুরবালা কাছাকাছি এসেছিল।

 

২১। একরাত্রি গল্পের নায়ক ঝড়ের রাতে কোথায় ছিল?

উত্তর: একরাত্রি গল্পের নায়ক ঝড়ের রাতে তার স্কুলঘরে ছিল।

 

২২। একরাত্রি গল্পের নায়কের সমস্ত ইহজীবনে ক্ষণকালের জন্য কী উদয় হয়েছিল?

উত্তর: একরাত্রি গল্পের নায়কের সমস্ত ইহজীবনে ক্ষণকালের জন্য একটি অনন্ত রাত্রির উদয় হয়েছিল।

 

২৩। একরাত্রি গল্পের পুকুরের পাড়ের একটি অংশ কত উঁচু?

উত্তর: একরাত্রি গল্পের পুকুরের পাড়ের একটি অংশ প্রায় এগারো হাত উঁচু।

 

২৪। একরাত্রি গল্পের নায়ক ঝড়ের রাত্রিটিকে কী নামে অভিহিত করেছেন?

উত্তর: একরাত্রি গল্পের নায়ক ঝড়ের রাত্রিটিকে অনন্ত রাত্রি নামে অভিহিত করেছে।

 

২৫। ঝড়ের রাতে পুকুর পাড়ের কতটুকু জলমগ্ন হতে বাকি ছিল?

উত্তর: ঝড়ের রাতে পুকুর পাড়ের কেবল পাঁচ-ছয় হাত জলমগ্ন হতে বাকি ছিল।

 

২৬। একরাত্রি গল্পে ঝড়ের রাতে সমস্ত বিশ্বসংসার ছেড়ে সুরবালা কার পাশে এসে দাঁড়ায়?

উত্তর: একরাত্রি গল্পে ঝড়ের রাতে সমস্ত বিশ্বসংসার ছেড়ে সুরবালা গল্পের নায়কের পাশে এসে দাঁড়ায়।

 

২৭। একরাত্রি গল্পে ঝড়ের রাতে মহাপ্রলয়ের তীরে দাঁড়িয়ে নায়ক কী পেয়েছে?

উত্তর: একরাত্রি গল্পে ঝড়ের রাতে মহাপ্রলয়ের তীরে দাঁড়িয়ে নায়ক অনন্ত আনন্দের আস্বাদ পেয়েছে।

 

২৮। একরাত্রি গল্পে গারিবালডি হতে চেয়েছিল কে?

উত্তর: একরাত্রি গল্পে গারিবালডি হতে চেয়েছিল গল্পের নায়ক।

 

২৯। একরাত্রি গল্পে কী বারে ঝড় হয়েছিল?

উত্তর: একরাত্রি গল্পে সোমবারে ঝড় হয়েছিল।

 

৩০। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান?

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান।

 

৩১। গীতাঞ্জলি কাব্যে কতটি গান এবং কবিতা আছে?

উত্তর: গীতাঞ্জলি কাব্যে ১৫৭ টি গান এবং কবিতা আছে।

 

৩২। একরাত্রি গল্পটি কখন প্রকাশিত হয়?

উত্তর: একরাত্রি গল্পটি ১২৯৯ বঙ্গাব্দে ‘সাধনা’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

 

৩৩। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মগ্রহণ করেন কবে?

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মগ্রহণ করেন ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ (৭ মে ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দ)।

 

৩৪। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মৃত্যুবরণ করেন কবে?

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মৃত্যুবরণ করেন ২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ (৭ আগস্ট ১৯৪১)

 

৩৫। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পারিবারিক পদবী কি ছিল?

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পারিবারিক পদবী ছিল কুশারী।

 

৩৬। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বংশ কী?

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বংশের নাম পীরালি ব্রাহ্মণ।

 

৩৭। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতার নাম কী?

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতার নাম দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।

 

৩৮। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মাতার নাম কী?

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মাতার নাম সারদা সুন্দরী দেবী।

 

৩৯। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহের নাম কী?

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহের নাম প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।

 

৪০। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বিশ্বকবি উপাধি দেন কে?

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বিশ্বকবি উপাধি দেন ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়।

 

৪১। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মের সার্ধশত বর্ষ পালিত হয় কত সালে?

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মের সার্ধশত বর্ষ পালিত হয় ২০১১ সালে।

 

৪২। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ভারত সরকার নাইট উপাধি প্রদান করে কত সালে?

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ভারত সরকার নাইট উপাধি প্রদান করে ১৯১৫ সালে।

 

৪৩। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাইট উপাধি ত্যাগ করেন কত সালে?

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাইট উপাধি ত্যাগ করেন ১৯১৯ সালে।

 

৪৪। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত কয়েকটি প্রেমের গল্পের নাম লেখো।

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত কয়েকটি প্রেমের গল্পের নাম হলো: পাত্র ও পাত্রী, শেষের রাত্রি, শেষ কথা, একরাত্রি, দৃষ্টিদান, মাল্যদান, সমাপ্তি, স্ত্রীর পত্র, অধ্যাপক, মহামায়া, শান্তি, রবিবার ইত্যাদি।

 

৪৫। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত কয়েকটি উপন্যাসের নাম লেখো।

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত কয়েকটি ‍উপন্যাসের নাম হলো: গোরা, শেষের কবিতা, চার অধ্যায়, চতুরঙ্গ, চোখের বালি, ঘরে বাইরে, যোগাযোগ, বৌ ঠাকুরাণীর হাট, নৌকাডুবি ইত্যাদি।

 

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, এই ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একরাত্রি গল্পের মূল বক্তব্য এবং অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর। আশাকরি পোস্টটি তোমাদের উপকারে আসবে। পরবর্তীতে রিভাইজ করার জন্য পোস্টটি নিচের শেয়ার অপশন থেকে তোমার সোশাল মিডিয়া টাইমলাইনে শেয়ার করে রাখো। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url